একজনের বয়স ১৫। অপরজনের বয়স ১৬। মায়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে ৬৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল দুই বোন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে কেরলের ওয়ানাদে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশের সন্দেহ দুই বোন দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেটা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তা পরিত্যক্ত কুয়োতে ফেলে দেয়। পরে তারা স্থানীয় থানাতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ অভিযুক্ত দুই বোনকে আটক ও মাকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বড় বোন একাদশ শ্রেণিতে ও ছোট বোন দশম শ্রেণিতে পড়ে। তারা গত পাঁচ বছর ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকছিল। এদিকে গত কয়েকমাস ধরে তাদের ভাড়া বকেয়া ছিল। এনিয়ে বাড়িওলার সঙ্গে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হত। এদিকে এদিনও সকাল ১১টা নাগাদ ওই ব্যক্তি ভাড়া ঘরে আসে। তখনই তাদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এদিকে অভিযুক্ত দুই মেয়ের দাবি, মাকে যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা করেছিল লোকটা। তখনই মাকে বাঁচানোর জন্য তারা কুড়ুল নিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদিকে পুলিশ দুই বোনকে আলাদা বসিয়েও জেরা করেছে। তাদের কথার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত দুই মেয়েকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হবে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।