করোনার প্রথম ওয়েভের তুলনায় দ্বিতীয় ওয়েভে অল্পবয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ অনেকটাই বেশি। এর সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন ICMR(ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ)-এর প্রধান ডঃ বলরাম ভার্গব।
তাঁর মতে, এর পেছনে দুইটি কারণ রয়েছে। একটি হল, প্রথম ওয়েভের পর কমেছে সতর্কতা। আরও বেশি করে বাইরে বের হচ্ছেন অল্পবয়সীরা। আর দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় ওয়েভে দেশে করোনার বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের উদ্ভব হয়েছে। যার ফলে আরও বেশি করে অল্পবয়সীরা সংক্রমিত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেন ডঃ ভার্গব। তিনি জানান, এ ক্ষেত্রেও পঁয়তাল্লিশোর্ধ্বদের মধ্যে করোনা সংক্রমণে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা বেশি। এই বয়সীদেরই মৃত্যুর হার বেশি। ফলে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে এই বয়সের গ্রুপেই আগের মতো জোর রাখতে হবে।
দ্বিতীয় ওয়েভে আরও বেশি সংখ্যক অল্পবয়সীদের সংক্রমণের তথ্য উঠে আসছে। যদিও গত এপ্রিলে এই দাবি অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানায়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম ওয়েভে ৩০ বছরের কমবয়সী করোনা আক্রান্ত ছিল মোট আক্রান্তের ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় ওয়েভে তা মাত্র ১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।
কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা কে বিজয় রাঘবণ সম্প্রতি একটি তৃতীয় ওয়েভের বিষয়ে সতর্ক করেন। তারপর থেকে সেই ওয়েভে অল্পবয়সীদের বেশি করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।