ডেলিভারি বয়দের লাঞ্ছনা বা মারধরের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এবার এক ডেলিভারি বয়কে খুন করল দুই যুবক। অনলাইনে দামী ফোন অর্ডার করেছিল দুই যুবক। কিন্তু, টাকা না থাকায় তারা দুজনে মিলে ডেলিভারি বয়কে খুন করে। পরে দেহ ফেলে দেয় একটি খালে। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের চিনহাট এলাকায়। ডেলিভারি বয়ের নাম ভরত কুমার (৩০)। তার দেহ এখনও উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দেরি করায় ডেলিভারি বয়কে তিরস্কার, তামিলনাড়ুতে অপমানে আত্মঘাতী তরুণ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ডেলিভারি বয় ইকমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানায়, তার দেহটি ইন্দিরা খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। উদ্ধারের জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এলাকার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ শশাঙ্ক সিং জানান, চিনহাটের গজানন নামে এক যুবক ফ্লিপকার্টে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দামের আইফোন অর্ডার করেছিল। সে ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্ট পদ্ধতি বেছে নিয়েছিল। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মতো ফোন ডেলিভার করতে গিয়েছিলেন ভরত। কিন্তু, অভিযুক্ত দুই যুবক জানায় তাদের কাছে টাকা নেই। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। তারা ভরতকে সংস্থাকে বলতে বলে যে ফোনটি হারিয়ে গিয়েছে অথবা দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে, টাকা হাতে পাওয়ার আগেই তিনি আইফোনটি যুবকদের হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু, টাকা নেই শুনে তিনি আইফোন ফিরিয়ে দিতে বলেন যুবকদের। তাদের কথা মতো কোম্পানিকে ফোন হারিয়ে যাওয়ার কথা না জানানোই দুজন মিলে ভরতকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর তার দেহ গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়ে ইন্দিরা খালে ফেলে দেয়।
এছাড়াও ডেলিভারি বয়ের বাইক তারা অন্য এলাকায় রেখে দেয়। শুধু ফোনই নয়, ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে তারা প্রায় ৩৫,০০০ টাকা লুট করে বলে অভিযোগ। এদিকে ভরত বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। পরে পুলিশ তদন্ত নেমে তাকে খুনের কথা জানতে পারে। সেই ঘটনায় পুলিশ আকাশ কুমার নামে একজনকে আটক করে। গজানন্দ পলাতক রয়েছে। তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভরত মূলত আমেঠি জেলার জামো এলাকার সামভাই গ্রামের বাসিন্দা। চিনহাটের সাত্রিক রোডে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ২৫ সেপ্টেম্বর চিনহাট থানায় তার ভাই প্রেম একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তদন্তের সময়, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আকাশ নামে একজন সন্দেহভাজনকে খুঁজে পায়। জিজ্ঞাসাবাদে, গজানন্দের নাম জানতে পারে পুলিশ।