হোলির আগের দিন ঘোর দুর্দশা ঘনিয়ে এল মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের ভাগ্যে। বেপাত্তা হয়ে গেলেন প্রায় জনা কুড়ি কংগ্রেস বিধায়ক। জানা গেল যে তারা বেঙ্গালুরু গিয়েছেন। সরকার পড়ে যাবে এই ভয়ে গভীর রাতে ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ।
মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী উমাঙ্গ শিঙ্গার বলেন যে তারা সবাই ইস্তফা দিয়েছেন। এবার বাকিটা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। ২৮জন মন্ত্রীর মধ্যে ২০জন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিসভা নতুন করে গঠন করলে বিদ্রোহী কিছু বিধায়কদের জায়গা দেওয়া যাবে, এই হিসাব কষেছেন কমলনাথ। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বিজেপি অনৈতিক ভাবে তাঁর সরকার ফেলার চেষ্টা করছে ও তিনি সেটা রুখবেন।
এর আগে দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন কমলনাথ। কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে সোমবার রাতে ভোপালে এসে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন তিনি। অন্যদিকে গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশ সঙ্কট নিয়ে বৈঠক হয় রাহুল-সনিয়ার।
তবে এখন সব নজর প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ওপর। বিদ্রোহী বিধায়করা তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার, জ্যোতিরাদিত্যর পিতা মাধবরাও সিন্ধিয়ার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভোপালে আসবেন তিনি। তখনই তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাবেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সোমবার অনেক করে চেষ্টা করেও জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিন্ধিয়া ঘনিষ্ট ছয় মন্ত্রীর মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।
আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে কে মনোনীত হবে, সেই নিয়েই প্রাথমিক ভাবে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেটিই এখন কংগ্রেসের জন্য বড় সংকটে পরিণত হয়েছে। তবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমলনাথ।
২৩০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১১৪ বিধায়ক আছে। বিজেপির আছে ১০৭। বিএসপির দুইজন, সপার একজন ও চারজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার চালাচ্ছে কংগ্রেস। এবার সেই সরকার পড়ল গভীর সংকটে।