ছেলেদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের দেখাশোনার চাকরি করতেন তরুণী। এদিকে সেই কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধেই এক নাবালক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হায়দরাবাদের ঘটনা। স্থানীয় ভাষায় ওই পদে কর্মরতাদের আয়াম্মা বলে ডাকা হয়। সেই আয়া- মার হাতেই সুরক্ষিত থাকল না ছাত্র। অভিযোগ এমনটাই। ২০১৭ সালের পয়লা ডিসেম্বর ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণীর বিরুদ্ধে তাঁর সন্তানকে ভয়াবহ যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন ছাত্রের বাবা। এরপর পকসো আইনে মামলা হয় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ওই তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালত ওই তরুণীকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে।
ঠিক কী ধরনের নির্যাতন করা হত ওই কিশোরের সঙ্গে? অভিযোগ অনুসারে দেখা যাচ্ছে ওই ছাত্রটির বয়স তখন ছিল ৯ বছর। প্রাথমিক স্কুলে পড়ত সে। অভিযোগ অনুসারে দেখা যাচ্ছে , ওই আয়াম্মা কিশোর ছাত্রটিকে গোপনে ডেকে নিতেন। এরপর চলত গোপন আদরের পালা। ছাত্রটির যৌনাঙ্গ স্পর্শ করতেন ওই তরুণী। অভিযোগ এমনটাই। এদিকে ছাত্রটি যন্ত্রনায় ককিয়ে উঠলে তাকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেই তাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কিভাবে জানাজানি হয়েছিল গোটা বিষয়টি? ছেলের শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে এব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন তার বাবা। তখনই বাবার কাছে সব খুলে বলে ছাত্রটি। তারপরই এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই তরুণীকে বিকৃতকাম বলে উল্লেখ করেছিলেন ছাত্রের বাবা।