কী কারণে ইউএস এইড ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের হার বৃদ্ধির জন্যে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত? এর কারণ জানতে তদন্তের দাবি তুলল বিজেপি। এই নিয়ে বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি বীণা রেড্ডির প্রসঙ্গ তুললেন। বিজেপি নেতা বলেন, '২০২১ সালে ইউএস এইডের ভারতীয় মিশনের প্রধান করে বীণা রেড্ডিকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ফিরে যান। তিনি থাকলে ভালো হত। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে জেরা করতে পারত।' (আরও পড়ুন: KIIT কাণ্ডে ধৃত BJP নেতার ছেলে, ছাঁটাই ২, সাসপেন্ড ৪, নিহত ছাত্রীর বাবা বললেন…)
আরও পড়ুন: 'টাকা পাঠিয়েছি, ঢুকে যাবে...', রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বড় গোলমাল!
আরও পড়ুন: মলমূত্রে থাকা জীবাণুর মাত্রা বেশি মহাকুম্ভের গঙ্গায়, দাবি কেন্দ্রের রিপোর্টে
এদিকে এর আগে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এসওয়াই কুরেশি স্বীকার করেন যে এর আগে ইউএসএইডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল কমিশন। তবে তিনি দাবি করেছিলেন, সেই চুক্তিতে কোনও অর্থায়নের কথা ছিল না। এই আবহে এবার মহেশ জেঠমালানি দাবি করেন, ভারতে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন বীণা রেড্ডি। মহেশ বলেন, 'এই নিয়ে এরিককে তখন প্রশ্ন করলে তিনি ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটির কথা বলতেন। এদিকে ইউএস এইডকে এই সব ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিতেন প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট (অ্যান্টনি ব্লিনকেন)। তিনি নিজেও এই বিষয়ের ওপর কোনও আলোকপাত করবেন না।' (আরও পড়ুন: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ থেকে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট গঠনে ভূমিকা ছিল CEC জ্ঞানেশের)
আরও পড়ুন: 'ঝগড়ায় কিছু হবে না', তেজস নিয়ে বায়ুসেনা প্রধানের সমালোচনার 'জবাব' HAL প্রধানের
এর আগে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের হার বৃদ্ধি করতে নাকি মার্কিন সরকার ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত। এমনটাই দাবি করল ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভার্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি। এই আবহে মার্কিন করদাতাদের এই টাকা খরচ বন্ধ করা হবে বলে জানালেন ইলন মাস্ক। এদিকে শুধু ভারত নয়, এই ধরনের নানা 'প্রকল্পে' বাংলাদেশ, মালি, নেপাল সহ বহু দেশে মার্কিন করদাতাদের কয়েক কোটি ডলার খরচ করা হত বলে দাবি করা হয়েছে DOGE-র তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকের অবৈধবাসী ভারতীয়দের গ্রহণ করতে চলেছে এই মধ্য আমেরিকার দেশ!)
আরও পড়ুন: রাজধানী না বনগাঁ লোকাল, ধরতে পারবেন না, হাওড়া থেকে ছাড়া ট্রেনে 'পটনা আতঙ্ক'
দাবি করা হচ্ছে, ভারতের নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে আরও বেশি সংখ্যক ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে আমেরিকার তরফ থেকে খরচ করা হত এই ২১ মিলিয়ন ডলার। এই আবহে বিজেপির অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'ভোটের হার বৃদ্ধি করতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ?এটা নিশ্চিত ভাবে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। এর থেকে কারা লাভবান হচ্ছে? নিশ্চিত ভাবে শাসকদল তো নয়।' (আরও পড়ুন: দেশে ফেরার বার্তা হাসিনার, ডেভিল হান্ট অভিযান নিয়ে ইউনুস সরকারকে তোপ)
আরও পড়ুন: পরীক্ষা আধা যেতে না যেতেই প্রশ্নফাঁস নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল নানা দাবি, মুখ খুলল বোর্ড
এদিকে এর আগে ফরাসি সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্টের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, ওপেন সোসাইটি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ওসিসিআরপি-র মতো 'প্রক্সি'র মাধ্যমে ভারত নিয়ে 'ভুয়ো প্রচার' করছিলেন জর্জ সোরোস। এই নিয়ে বাইডেন জমানায় বিজেপি একটি দীর্ঘ পোস্টে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে আক্রমণ শানিয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ ছিল, বাইডেন আমলে মার্কিন সরকার ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। যদিও সেই সময় মার্কিন দূতাবাস বিজেপির এই দাবির বিরোধিতা করেছিল।