নিজের ২২ বছরের শাসনকালে মন্ত্রিসভায় সবচেয় বড় রদবদল করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই একসঙ্গে ওড়িশার সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এরপর আজকে নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করলেন নবীন পট্টনায়েক। আজকে নতুন করে ওড়িশার ২১ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করলেন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন নতুন মুখ। এর জেরে মন্ত্রিসভার একাধিক বিতর্কিত মুখকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবনের কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ১৩ জন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং আটজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীকে রাজ্যপাল অধ্যাপক গণেশি লাল শপথবাক্য পাঠ করান। যে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন তারা হলেন জগন্নাথ সারাকা, টুকুনি সাহু, প্রমিলা মল্লিক, রণেন্দ্র প্রতাপ সোয়াইন, তুষারকান্তি বেহেরা, নব কিশোর দাস, সমীর রঞ্জন দাশ, প্রতাপ কেশরী দেব, অতনু সব্যসাচী, রোহিত পূজারি এবং রাজেন্দ্র ঢোলাকিয়া। যে প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন তারা হলেন সবিতা হেমব্রম, শ্রীকান্ত সাহু, অশ্বিনী পাত্র, অশোক পান্ডা, উষা দেবী, নিরঞ্জন পূজারি, প্রীতি রঞ্জন ঘাদেই, প্রদীপ আমাত এবং রীতা সাহু।
যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আইন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী প্রতাপ জেনা, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অরুণ সাহু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দিব্য শঙ্কর মিশ্র, বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রী পদ্মনাভ বেহেরা, শ্রম ও কর্মচারী রাজ্যের বীমা মন্ত্রী সুশান্ত সিং। গত বছর কটক জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক সিনিয়র নেতা ও তাঁর সহযোগীর হত্যা মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী জেনার নাম উঠে আসে। গত বছর কালাহান্ডি জেলায় এক মহিলা স্কুল শিক্ষিকাকে খুনের ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মিশ্র। যদিও বিজু জনতা দল (বিজেডি) বিরোধীদের চাপের মুখে তখন মন্ত্রিসভায় রদবদল করেনি। তবে শেষ পর্যন্ত ওড়িশার মন্ত্রিসভা পুরো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিলেন নবীন পট্টনায়েক।