টিকার আকাল কাটিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা, তা সময় বলবে। তবে কেন্দ্র দাবি করল, আগামী অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ২০০ কোটির বেশি করোনাভাইরাস টিকার ডোজ তৈরি হবে। যা সমগ্র দেশের মানুষের টিকাকরণের জন্য যথেষ্ট।
আপাতত চাহিদার সঙ্গে জোগান পাল্লা দিতে না পারায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকার অভাব দেখা দিয়েছে। তার ফলে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া হোঁচট খেয়েছে। আকালের মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বাংলা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য গ্লোবাল টেন্ডারের পথে হেঁটেছে। টিকার সেই অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করে নিয়ে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল জানান, টিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। 'কিন্তু তা উৎপাদন করতে সময় লাগে।' আপাতত টিকার জোগান অফুরন্ত নেই। তিনি বলেন, 'সেজন্য আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। সেজন্য (যখন) বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে, তখন বিপদের মুখে থাকা গোষ্ঠীদের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।'
তবে সেই টিকার আকাল শীঘ্রই কেটে যাবে বলে দাবি করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)। তিনি বলেন, 'ভারতীয়দের জন্য পাঁচ মাসে (অগস্ট থেকে ডিসেম্বর) দেশে ২০০ কোটির বেশি ডোজ তৈরি করা হবে। আমরা যত সামনের দিকে এগিয়ে যাব, তত আমাদের টিকার প্রাপ্যতা বাড়বে।' শুধু তাই নয়, আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৩০০ কোটি হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন পল।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রের দাবি, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন-সহ দেশীয় টিকার মাধ্যমেই ২০০ কোটি ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পার হওয়া যাবে। সম্ভাব্য যে ২১৬ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন হবে যথাক্রমে ৭৫ কোটি এবং ৫৫ কোটি ডোজ ধরা হয়েছে। বায়ো ই, জাইডাস ক্যাডিলা, নোভাভ্যাক্স, ভারত বায়োটেকের নাসাল টিকা এবং জেনোভার এমআরএ টিকার যথাক্রমে ৩০ কোটি, পাঁচ কোটি, ২০ কোটি, ১০ কোটি এবং ছ'কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি'র ১৫.৬ কোটি ডোজ আছে। যা ভারতেই তৈরি হবে।