বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে মহাকুম্ভের সময় দেশের ২২ টি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই সঙ্গে সরকার, নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনাকে দুঃখজনক বর্ণনা করে, ওই দুর্ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ নিয়েও মুখ খোলে। এক লিখিত উত্তরে সংসদে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানিয়েছেন,' ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের সময়, ২২টি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।'
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে দিল্লিতে রেল স্টেশনে মহাকুম্ভ ঘিরে ভিড়ের জেরে ১৮ জনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যায়। সেই অভিশপ্ত দিনের প্রসঙ্গ তুলে অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেন, নয়া দিল্লি রেলস্টেশন থেকে সেদিন ৪৯,০০০ জেনারেল টিকিট কাটা হয়েছিল। যা গত ৬ মাসে দৈনিক টিকিট সাধারণত যা কাটা হয়েছে ওই স্টেশনে তার থেকে সংখ্যায় ১৩ হাজার বেশি। দিল্লির পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেন,' নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদদলিত হওয়ার একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও জানা গেছে। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন,'নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের প্রত্যেককে ২.৫০ লক্ষ টাকা এবং সামান্য আহতদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ৩৩ জন ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের মোট ২.০১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।'
দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার দিনে কতগুলি টিকিট বিক্রি হয়েছিল, সে বিষয়ে সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেন,' ১৫ ফেব্রুয়ারি, নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ৪৯,০০০ জেনারেল টিকিট ইস্যু করা হয়েছিল, যা গত ছয় মাসে বিক্রি হওয়া দৈনিক গড় টিকিটের সংখ্যার চেয়ে ১৩,০০০ বেশি। এই অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে, পাঁচটি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হয়েছিল।'তিনি জানান, তিনি বলেন, একটি বিশেষ ট্রেনে প্রায় ৩,০০০ যাত্রী বহন করা যায়, এবং আরও বলেন যে ১৫,০০০ অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য পাঁচটি ট্রেনই যথেষ্ট।