তেইশ কিলোগ্রাম সোনা, নগদ ১৭ কোটি টাকা এবং ৬০০ কিলোগ্রাম চন্দন কাঠ। যে চন্দন কাঠের মূল্য প্রায় ছ'কোটি টাকা। কনৌজে সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের একটি বাড়ি থেকে এমনই সব সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানাল ডিরেক্টরেট অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই)।
গত ২৩ এবং ২৪ ডিসেম্বর আয়কর দফতর এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইন-ডিরেক্ট ট্যাক্সের অভিযানে পীযূষের ১৭৭.৪৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর চারটি বাড়িতে ৮০ ঘণ্টা তল্লাশি চালাচ্ছেন ডিজিজিআই আধিকারিকরা। কনৌজেই একটি বাড়ি থেকে ২৩ কেজি সোনা, নগদ ১৭ কোটি টাকা এবং ৬০০ কিলোগ্রাম চন্দন কাঠ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
তল্লাশির মধ্যেই সোমবার পীযূষকে কানপুরের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের (কর্পোরেশন) আদালতে তোলা হয়। সেন্ট্রাল জিএসটির আর্জির ভিত্তিতে পীযূষকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ডিজিজিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা (প্রসিকিউশন) সঞ্জয় কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, পীযূষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে অপর এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পীযূষের বাড়িতে অভিযান চালায় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের দল। সম্প্রতি বাজারে 'সমাজবাদী পারফিউম' নামক এক সুগন্ধী এনেছিল পীযূষের সংস্থা। তারইমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে করফাঁকির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেন আয়কর আধিকারিকরা। তারপর করফাঁকির অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয় পীযূষকে।