১২ বছরের এক কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল কেরলের কান্নুর জেলায়। শুক্রবার ২৩ বছর বয়সি এক নারীকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্নেহা মার্লিন তালিপারাম্বা জেলার কাছে পুলিমপারাম্বার বাসিন্দা। চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত কাউন্সেলিং সেশনে এই যৌন হেনস্থার বিষয়টি প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিল। একজন শিক্ষক স্কুলে একটি মেয়ের ব্যাগ থেকে একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন। তাঁর ফোন চেক করে অস্বাভাবিক বেশ কিছু জিনিস দেখেন তিনি। তাঁর সন্দেহ হলে ওই শিক্ষক শিশুটির বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। (আরও পড়ুন: হোলিতে ছড়াল হিংসা, ছোড়া হল পাথর, বাইক-দোকানে আগুন, জখম বেশ কয়েকজন)
আরও পড়ুন: ইউনুস ও রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের ইফতারি পার্টিতে 'অব্যবস্থা'? মৃত ১ রোহিঙ্গা, জখম ২
শিক্ষকের পরামর্শ মেনে বাবা-মা শিশুটিকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য চাইল্ডলাইনে নিয়ে যান। কাউন্সেলিং চলাকালীন ১২ বছরের মেয়েটি জানায়, স্নেহা তাকে বেশ কয়েকবার যৌন নির্যাতন করেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, যার পরে স্নেহাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্নেহা মেয়েটিকে সোনার ব্রেসলেট সহ অন্যান্য উপহার দিয়েছিল। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ, কলম্বিয়ার ভারতীয় স্কলারের ভিসা বাতিল USA-র)
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটি থেকে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে 'গোপন অভিসন্ধি' বাংলাদেশি দূতের?
এর আগে এক দলিত কিশোরীকে ৫ বছর ধরে ৫৯ জন ধর্ষণ করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে কেরলের পাথানামথিট্টায়। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে থেকে ৫৭ জনকেই গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। পাথানামথিট্টার এসপি ভিভিজি বিনোদ কুমার জানান, ২৫ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পুলিশ। সেই দলিত কিশোরী অভিযোগ করে, ১৩ বছর বয়স থেকে তাঁকে ৬২ জন ধর্ষণ করেছে। এর মধ্যে মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ৫৯ জনকে। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জন এখন বিদেশে। তাছাড়া বাকি ৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ৪টি থানায় মোট ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এই ঘটনায়। এমনকী সেই কিশোরী জানান, তাঁকে ৫ জন নাবালকও যৌন হেনস্থা করেছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্ল্যাকমেল করে সেই কিশোরীকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে ডাকা হত। তারপর সেখান থেকে তাঁকে বিভিন্ন জন গাড়িতে করে নানান জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বিগত ৫ বছর ধরে। এর মধ্যে অন্তত ৫ বার সেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই কিশোরী স্কুলের কাউন্সেলিংয়ের সময় প্রথমবারের মতো নিজের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে মুখ খোলেন। এরপর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হস্তক্ষেপে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ক্লাসমেটরাও যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণ করেছিল সেই কিশোরীকে।