আজ সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না আগাম ১৫ তারিখ মামলার শুনানির দিন ধার্য করার প্রস্তাব দেন। তাতে সব পক্ষের আইনজীবী রাজি হন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ এই মামলায় সিবিআইয়ের সওয়াল করার কথা ছিল। এদিকে সিবিআইয়ের থেকে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে। এই আবহে জানা গিয়েছে, আজ শুনানি না হলেও সেই রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। (আরও পড়ুন: 'চট করে বাংলাদেশে আসবেন…', শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন 'বিপ্লবী' সারজিস?)
আরও পড়ুন: বাঘের আগমন! রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের টাটকা পায়ের ছাপ, গর্জনে ঘুম উড়ল কুলতলির
আরও পড়ুন: '…এর জন্যে আপনাকে সরকারে বসানো হয়নি', ইউনুসকে চাপ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর শেষবারের মতো শুনানি হয়েছিল এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার। তার আগে অবশ্য একাধিকবার এই মামলা পিছিয়ে গিয়েছিল। আর আজ ফের এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। তবে গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে যেটা দেখা হয়েছে সেটা হল যোগ্য ও অযোগ্যকে আলাদা করা সম্ভব কি না। সেই দিনের শুনানিতে এসএসসির ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাকে নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, 'ডাল মে কুছ কালা হ্যা ইয়া সব কুছ কালা হ্যায়?' এদিকে ফাঁকা ওএমআর শিট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। (আরও পড়ুন: বৃষ্টি হবে ৪ জেলায়, এরই সঙ্গে হু হু করে নামবে পারদ, জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস)
আরও পড়ুন: কলকাতা ও সল্টলেকে কোন রুটে বাড়ছে কটা সরকারি বাস? এখনই বা চলে কটা?
এদিকে সেই শুনানিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখন তাঁরা চাকরির থেকেও বেশি চিন্তিত বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। কারণ এত মানুষের চাকরি একসঙ্গে চলে গেলে শিক্ষা পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ SSCর গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিতভাবে তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এর পর হাইকোর্ট প্যানেল খারিজ করতেই সুপ্রিম কোর্টে বদলে যায় এসএসসি-র সুর। সেখানে তারা জানায়, তাদের হাতে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করার মতো সুনির্দিষ্ট নথি রয়েছে। তবে সব কিছু নিয়েই রয়েছে ধোঁয়াশা।