এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার চূড়ান্ত রায়দান হল না।সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল এখনই এটা সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলা উঠেছিল।আবেদনকারীদের আইনজীবী নথি দেখে এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চান। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে এই মামলার এখনও শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার একাধিক দিক রয়েছে। তবে দুটি বিষয়ে বিবেচনার কথা জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত এসএসসির অধীনে সব মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩জনের চাকরি বাতিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলের কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদও আলাদা করে মামলা করেছিল বলে খবর।
অভিযোগ রয়েছে যে প্রকৃত যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরিতে নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেক্ষেত্রে এবার সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নির্দেশ কী দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল।
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।সেক্ষেত্রে ফের ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনও পথ নেই।
মূলত দুটি বিষয় বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে আদালত। একটা হল পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে নাকি যারা কেবলমাত্র বেআইনি ভাবে চাকরি করছেন তাঁদের নিয়োগই বাতিল বলে গণ্য করা হবে। এই দুটি বিষয় আদালত বিবেচনা করবে। তবে অহেতুক এনিয়ে বাড়তি জটিলতা তৈরি করা হবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। সেক্ষেত্রে এবার কার চাকরি থাকে আর কার চাকরি থাকবে না সেটা নিয়েই এখন মূল প্রশ্ন।
এদিকে এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়।এরপরই রাজ্য সরকার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলে যায়। চাকরি হারাদের একাংশও চলে গিয়েছিলেন সুপ্রিম দরবারে। এরপর মে মাসের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল আপাতত কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। এবার কী হয় সেটাই দেখার।