পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক পরিচয় দিয়ে কেরলে বসবাস করছিল বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। তাদের গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। মোট ২৭ জন্য বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এই বাংলাদেশি নাগরিকরা পরিচয় গোপন করে কোচিতে থাকছিল। এদের মধ্যে অনেকেই সমাজবিরোধী কাজে সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ এবং উত্তর পারাভুরের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে এই বাংলাদেশিদের। গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র, গুলি, লক্ষ-লক্ষ টাকা নিয়ে অনুপ্রবেশ, ত্রিপুরায় গ্রেফতার বাংলাদেশি
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২ সপ্তাহ আগে ২৮ বছর বয়সি বাংলাদেশি নাগরিক তসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছিল এর্নাকুলাম গ্রামীণ জেলা পুলিশ। এরপরই অবৈধভাবে থাকা আরও বাংলাদেশিদের ধরতে পুলিশের তরফে বিশেষ অভিযান চালানো হয়, যার নাম হল ‘অপারেশন ক্লিন’। এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ এবং সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। এই ২৭ জনকে এর্নাকুলাম জেলার কোচি শহরের উত্তর পারাভুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের মতে, ধৃতদের কাছে জাল আধার কার্ড ছিল এবং তারা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক বলে পরিচয় দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে জাল আধার কার্ড পাওয়া দুই বাংলাদেশি মহিলা রুবিনা এবং কুলসুম আখতারকে গ্রেফতারের পর এই অভিযান সামনে আসে। জানা যাচ্ছে, তারা দুজনে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় এক বছর ধরে কেরালায় বসবাস করছিল। পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পারে, তারা পশ্চিমবঙ্গের একজন এজেন্টের মাধ্যমে জাল আধার কার্ড পেয়েছিল। তাই পুলিশ ওই এজেন্টের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে। একসঙ্গেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা মহিলাদের কেরালায় যেতে সাহায্য করেছিল।
এই অভিযানের অধীনে প্রথম গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে ২ সপ্তাহ আগে। তখন তসলিমা বেগমকে ধরা হয়। এর পর জানুয়ারিতে কোচি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে হোসেন বেলার, মহম্মদ লিটন, মহম্মদ বাপ্পি শো এবং মহম্মদ আমিন উদ্দিন নামে আরও চার বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, যারা বাংলাদেশিদের প্রবেশে সহায়তা করেছিল এবং জাল নথি সরবরাহ করেছিল তাদের সন্ধানের জন্য কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও পুলিশের জনসাধারণকে একটি হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে কেরলে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের সম্পর্কে তথ্য জানাতেও অনুরোধ করা হয়েছে।