ত্রিপুরায় উপনির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতে চায় তৃণমূল। ত্রিপুরার মাটিতে জোর কদমে প্রচার চালাতে ২৭ জন স্টার প্রচারকের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এই প্রচারকদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী ছাড়াও দলের অনেক প্রথম সারির নেতারা রয়েছেন প্রচারকের তালিকায়। বোঝাই যাচ্ছে, ত্রিপুরার মাটিতে এই উপনির্বাচনকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে দল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৭ জনের যে স্টার প্রচারকের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে প্রথম নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, শক্রঘ্ন সিনহা, মুকুল সাংমা, কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। পাশাপাশি অভিনেতা–সাংসদ দেব, মিমি চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তের মতো নেতা–নেত্রীরাও রয়েছেন এই প্রচারকের তালিকায়। সম্প্রতি ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই উপনির্বাচন থেকেই ত্রিপুরায় বিজেপির শেষের শুরু হোক। জানা গিয়েছে, ১৪ জুন ফের ত্রিপুরায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরের বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই উপনির্বাচনকে ঘিরে ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে কতটা আপন করে নিয়েছে, তা বুঝে নিতে চায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচনকে অ্যাসিড টেস্ট হিসাবে দেখছে ঘাসফুল শিবির। এর আগে ত্রিপুরায় পুরভোটের সময় আগরতলা পুরনিগম-সহ বিভিন্ন পুরসভায় প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। আসন না পেলেও এই সব পুরসভায় অনেকটাই ভোট টেনেছিল ঘাসফুল শিবির। তাই এবারের এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাইছে না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরায় চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেব ইস্তফা দেওয়ার পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মানিক সাহা। তাঁকে এবার বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে এবারে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূল এই চার কেন্দ্রই প্রার্থী দিয়েছে।