অগস্টের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে দ্বিতীয় সেরোলজিকাল সার্ভে করা হয়। তার ফলাফল এদিন প্রকাশ করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, যিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সার্ভেতে প্রকাশ যে দিল্লির ২৯.১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরী হয়ে গিয়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৩২.২ শতাংশ, পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৮.৩ শতাংশ।
প্রথম সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল ২২.৮৬ শতাংশ দিল্লিবাসীর শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি আছে। এবার ছয় শতাংশ সেটি বেড়েছে। প্রথমবার ২১, ৩৮৭ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়। এবার ১৫ হাজার ছিল স্যাম্পেল সাইজ। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে তৃতীয় পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু হবে।
শরীরে অ্যান্টিবডি থাকার মানে হল সেই ব্যক্তির করোনা হয়েছিল, সে সুস্থ হয়ে গিয়েছে ও করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী ক্ষমতা এখন তৈরী হয়ে গিয়েছে। সুস্থ হয়ে যাওয়ার তিন থেকে আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। সেই সময় শরীরে টি-সেলও তৈরী হয়, ফলে ফের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই জানান সত্যেন্দ্র জৈন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন যে দিল্লি ক্রমাগত হার্ড ইম্যুনিটির দিকে এগোচ্ছে তবে ৪০ শতাংশ জনসংখ্যায় এই অ্যান্টিবডি তৈরী হয়ে গেলে তবে সে কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। ফের দিল্লিতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
১৮ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ৩৪. ৭ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, নবীন প্রজন্মের কত শতাংশের মধ্যে করোনার চিহ্ন আছে, তার ওপর নির্ভর করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেবে কেজরিওয়াল সরকার।