বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের বিদায়ের নেপথ্যে আমেরিকার হাত থাকা নিয়ে চর্চা, তর্ক চলেছে বহুদিন। একটা সময় এই নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন শেখ হাসিনা নিজেও। যদিও পরে হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্যে আমেরিকা দায়ী নয়। এদিকে মোদীর সফরকালে ট্রাম্পও দাবি করেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্যে মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনও ভূমিকা নেই। তবে এবার ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির তরফ থেকে দাবি করা হল, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী করতে মার্কিন করদাতাদের ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল'। এই অনুদান বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে। আজ DOGE-এর তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এই খবর জানানো হয়। এর আগে বাংলাদেশে USAID-এর প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইউনুস সেই অনুদান চালুর আবেদন করলেও ট্রাম্প প্রশাসন এখনও তা কানে তোলেনি। (আরও পড়ুন: ভারতের ভোটে ২২ মিলিয়ন ডলার খরচ করত USA? খুঁজে বের করলেন মাস্ক, বিস্ফোরক BJP নেতা)
আরও পড়ুন: আরও এক 'মেহতা স্ক্যাম', ব্যাঙ্কের ১২২ কোটি টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার GM
এর আগে আবার সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট। যা তারা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে জমা করেছিল। এনডিটিভি প্রফিটের রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের উল্লেখিত রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ফাঁদ পেতেছিল আমেরিকার একটা অংশ। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের নামে 'রিপাবলিকান' থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির কোনও যোগ নেই। এবং এই প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করত ইউএস এইড। (আরও পড়ুন: পদপিষ্ট কাণ্ডে রেল বলল, 'একজন পিছলে...', তদন্তে CCTV খতিয়ে দেখছে পুলিশ)
আরও পড়ুন: সীমান্তের ওপারে আটক ভারতীয় নারী, পরে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে দেয় বিজিবি
২০১৯ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সময়কালের ওপর ভিত্তি করা এই রিপোর্টে রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে নাকি তাদের ইনস্টিটিউটকে ১৭০ জন গণতন্ত্রপন্থী সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশের খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, শিলেট এবং ঢাকার গ্রামীণ স্তরে এই ১৭০ জন গণতন্ত্রপন্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তরা মূলত 'ইনফর্ম্যান্ট'-এর কাজ করেছিল। এদের নিয়ে নাকি ওয়ার্কশপ পর্যন্ত করা হয়েছিল। এরপর তৌফিককে টাকা দিয়ে দু'টি গান গাওয়ানো হয়েছিল - 'তুই পারিস', 'এই দায় কার?'। এদিকে বাংলাদেশের শিল্পী মহলকে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করানোর বন্দোবস্ত করেছিল এই ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট। এই আবহে ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মার্কিন অ্যাজেন্ডার ডকুমেন্টারি প্রচার করা হয়। সেই সময় খাদিজা রিয়ার মতো 'সমাজসেবীদের' অর্থসাহায্য দেয় ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের নিয়েও ওয়ার্কশপ করা হয়। প্রতিবেদনে দাবি কর হয়েছে, গণতন্ত্রের পাঠ দেওয়ার নামে বিভিন্ন ভাবে সরকার এবং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মনোভাব তৈরি করার চেষ্টা করেছিল ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট।