ফের সংঘাতের পথে কেন্দ্র-রাজ্য। কঠোর ভাবে নাইট কার্ফু পালন করার জন্য রাজ্যগুলিকে বার্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য নাইট কার্ফু জারি করা হবে না। তবে লকডাউনের কড়াকড়ি আরও বেশি ভাবে মানা হবে রাতে বলেও জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব সব রাজ্যকে চিঠি লিখেছেন এই প্রসঙ্গে। তিনি বলেন যে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন কার্যকলাপ ও লোকজনের চলাচল রাত সাতটা থেকে ভোর সাতটার মধ্যে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এটি অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে। রাজীব ভাল্লা লেখেন যে তারা মিডিয়া ও অন্য জায়গা থেকে খবর পাচ্ছেন যে অনেক জায়গায় রাতের কার্ফু মানা হচ্ছে। এটা যাতে মানা হয় সেটা স্থানীয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
ভাল্লার চিঠিতে নাম না থাকলেও ইঙ্গিত যে দিদির দিকে, সেটা বলাই বাহুল্য। মমতা বলেছিলেন যে রাতে বেরোবেন না, তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি কার্ফু জারি করেননি, কারণ শব্দটির মধ্যে একটা নেতিবাচক ইঙ্গিত রয়েছে ও মানুষ এতে আরও হাঁসফাঁস করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে যে সব রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই তো এই নিয়ম বানানো হয়েছে। সেগুলি না মানলে সেটা মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল যে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে লকডাউনের নিয়ম শিথিল করতে পারবে না রাজ্যগুলি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র আগেই জানিয়েছে রাজ্যগুলি চাইলে লকডাউনের আরও কঠিন নিয়ম রাখতে পারে, কিন্তু তারা কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া নিয়ম শিথিল করতে পারবে না। প্রসঙ্গত ৩১ মে অবধি চলা চতুর্থ দফার লকডাউনের জন্য অধিকাংশ নিয়ম বানানোর কাজ রাজ্যদের হাতে ছেড়েছে কেন্দ্র। এমনকী করোনা জোনও ঠিক করবে রাজ্যগুলি। কিন্তু যে কটি নিয়ম কেন্দ্র মানতেই হবে বলে জানিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল এই নাইট কার্ফু। কিন্তু সেই সংক্রান্ত সরকারি ভাবে কোনও আদেশ দেয়নি রাজ্য।
স্বরাষ্ট্রসচিব এদিন বলেন যে রাজ্যদের সঠিক ভাবে করোনা জোন বানাতে হবে ও ব্যবস্থা নিতে হবে যদি আইন না মানা হয়। একই সঙ্গে কোভিডের প্রসার ছড়াতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সব রাজ্যকে মানতে হবে বলেও তিনি জানান। সমস্ত মুখ্যসচিবদের সতর্ক হয়ে থাকতে বলেন তিনি। ভারতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ১.১২ লক্ষ মানুষ।তবে সরকারের মতে, লকডাউনের ফলে আগুনের মতো ছড়ায়নি সংক্রমণ। ফলে এখনও নিয়ম সঠিক ভাবে মানার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার।