ইসলামিক স্টেটকে (IS) সাহায্য করায় দোষী সব্যস্ত উত্তর কেরালার তিন ব্যক্তি। কোচিতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা আদালতে মঙ্গলবার এই রায় দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতি সহানুভূতিশীল কার্যকলাপ প্রসারিত করার এবং দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য যুবকদের সন্ত্রাসী সংগঠনে নিয়োগ করার অভিযোগ ছিল।
আগামী শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে। জানা গিয়েছে, এই তিনজন মিলে ২০১৫ সালে সিরিয়ার সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে যুদ্ধ করার জন্য ভারত থেকে কমপক্ষে ২০ জনকে নিয়োগ করেছিল। প্রাথমিকভাবে কেরল পুলিশ তদন্ত করেছিল। পরে ২০১৭ সালে NIA-কে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়।
দোষী সাব্যস্ত তিন যুবক, ইউ কে হামজা, কে ভি আব্দুল রজ্জাক এবং এম মিদিলাজ কান্নুরের বাসিন্দা। মিদিলাজ এবং আব্দুল রাজ্জাক, উভয়েরই বয়স ৩০ বছর। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় যাওয়ার সময়ে তুর্কি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তুরস্কে দুই মাস জেলে থাকার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে তাদের ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়।
তদন্তে জানা যায় পেশাদার বাবুর্চি ইউ কে হামজা, ওরফে 'বিরিয়ানি হামসা', উত্তর কেরালায় আইএস মতাদর্শের প্রচারক ছিল। তার মদতেই কমপক্ষে ২০ জন যুবককে উগ্রবাদী মতাদর্শে ব্রেনওয়াশ করা হয়।
এদিকে স্থানীয়ভাবে হামজা বিরিয়ানি বানানোর বিশেষজ্ঞ রাঁধুনি হিসাবেই বেশি জনপ্রিয় ছিল। পরে তদন্তকারীরা তাকে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করলে সকলে চমকে ওঠেন।
এনআইএ আদালতের বিচারক অনিল ভাস্কর তাদের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (UAPA) ৩৮ নম্বর ধারা এবং ৩৯ নম্বর ধারা (দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং দেশকে দুর্বল করতে কোনও সন্ত্রাসী দলকে সমর্থন করা) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা (অপরাধী ষড়যন্ত্র-র অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।