ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা।
কার্যত মাওবাদী দমনে ফের বড় সাফল্য পেল সুরক্ষা বাহিনী।
সুকমায় নকশাল বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী সাফল্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সেই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা।
এখনও পর্যন্ত তিন নকশালপন্থীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চলছে বলে রায়পুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা সেই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা।
৬ জানুয়ারি বিজাপুর জেলায় নকশালদের আইইডি বিস্ফোরণে আট নিরাপত্তারক্ষী ও তাদের গাড়ির এক বেসরকারি চালকের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নকশালদের কর্মকাণ্ডের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি তাদের (নিরাপত্তা বাহিনী) সঙ্গে দেখা করেছি। আমি আবারও বলছি, আমাদের জওয়ানরা অত্যন্ত শক্তি ও সাহসের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নকশালদের দূর করা যাবে।
২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদকে নির্মূল করার অঙ্গীকার অমিত শাহের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালদের নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে ছত্তিশগড়ে চরমপন্থীদের দ্বারা নিহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সুকমা ও বিজাপুর জেলার সীমান্তবর্তী একটি জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি যৌথ দল নকশাল বিরোধী অভিযানে বের হলে এনকাউন্টার শুরু হয়।
জেলা রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সিআরপিএফের এলিট ইউনিট কোবরা (কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন) এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পৃথক এনকাউন্টারে ৯ জন নকশালপন্থী নিহত হয়েছে।
নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া-বিজাপুর জেলার সীমান্তে আবুজমাদে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন দিনের নকশাল বিরোধী অভিযানে দুই মহিলা-সহ পাঁচ নকশাল জঙ্গি নিহত হয়।
গত ৩ জানুয়ারি রায়পুর ডিভিশনের গরিয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক নকশাল নিহত হয়।
গত বছর রাজ্যে পৃথক এনকাউন্টারে ২১৯ জন নকশালকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে মাওবাদী ঘাঁটি সরিয়ে দিতে সুরক্ষা বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। একেবারে দুর্গম জঙ্গলে চালানো হয় অভিযান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একাধিক অভিযানে সফল হয়েছে সুরক্ষা বাহিনী। ইতিমধ্য়েই একাধিক মাওবাদী নেতাকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। চারদিকে ঘিরে ফেলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে বাহিনী।