পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে দীপাবলির রাতে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল অন্ধ্রপ্রদেশে। একসঙ্গে দাদু, বাবা এবং নাতিকে কুপিয়ে খুন করল অন্য পক্ষ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকীনাড়া জেলার সলপাকা গ্রামে। মৃতেরা হলেন বাথুলা রমেশ, তাঁর পুত্র বাথুলা চিন্নি এবং নাতি বাথুলা রাজু। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই তাদের খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকা না দেওয়ায় পিটিয়ে খুন, তোলাবাজির অভিযোগ শিলিগুড়িতে
এই ঘটনার পর খবর পেয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। সেখানে তিনজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি বিক্রান্ত পাটিল-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত দিক থেকে ঘটনাটির তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দুই পরিবারের মধ্যে একটি দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। সেই কারণে এই খুনের ঘটনা। আমরা শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করব।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের সকলের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ধরানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাথুলা পরিবারের সঙ্গে অন্য পরিবারের অশান্তি ছিল। দীপাবলির রাতে তাদের মধ্যে সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। একপক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপরেই খুনের ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কই এই সংঘর্ষের কারণ ছিল।আহত অবস্থায় আরও একজনকে কাকীনাড়া সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি এখন আশঙ্কামুক্ত। এই ঘটনার পরেই
গোল্লাপালেম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, খুনের পরেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার পরে এলাকায় যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় তার জন্য একটি পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য এলাকায় ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার পরে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। একসঙ্গে তিন জনের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। তারা অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।