বাদল অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগেই শেষ হয়েছে। সেই দায় বর্তেছে বিরোধীদের উপর। তাঁদের হই–হট্টগোলেই চালানো যায়নি সংসদ। দোষারোপ সৌজন্যে–কেন্দ্রীয় সরকার। এবারের বাদল অধিবেশনে দেখা গিয়েছে বিরোধীরা সোচ্চা হয়ে উঠেছিল পেগাসাস, কৃষি আইন এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে। এনসিপি সাংসদ বন্দনা চ্যবন মতুন আঙ্গিকে প্রতিবাদ করে দেখালেন। যা সংসদ শেষ হওয়ার পরও সেই চর্চা জিইয়ে রইল।
কী করলেন তিনি? সংসদে তাঁর দায়িত্ব ছিল প্রিসাইডিং অফিসারের। যাঁর কাজ হচ্ছে সংসদে আম্পেয়ারের ভূমিকা পালন করা। অর্থাৎ নিরপেক্ষ থেকে সংসদের কাজ বজায় রাখা। সেখানে তিনি নিজের চেয়ার ছেড়ে বিরোধীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন। পালন করলেন না নিজের কর্তব্য। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গেল। সংসদ মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরও এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
জানা গিয়েছে, লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই প্রিসাইডিং অফিসার থাকে। প্রতিটি কক্ষে ১২ জন করে প্রিসাইডিং অফিসার থাকে। যাঁদের দায়িত্ব সংসদের অচলাবস্থার সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে সাংসদদের নির্দেশ দেওয়া। সেখানে নিজের কর্তব্যকে সরিয়ে রেখে বিরোধীদের বিক্ষোভে–প্রতিবাদে সামিল হওয়া বেনজির। যা করে দেখালেন বন্দনা চ্যবন। চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তাঁদের এই দায়িত্ব পালন করতে হয়।
তবে বন্দনা একা ছিলেন না এই প্রতিবাদে। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন কংগ্রেস সাংসদ এল হনুমানথাইয়া এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বন্দনা চ্যবন। তিনি বলেন, ‘আমি নৈতিকভাবে এমন ঘটনাকে সমর্থন করি না। আমি কোনও প্রতিবাদ করিনি।’ এই ঘটনার পর তিনি এবং কংগ্রেস সাংসদ সাফাই দিতে সাক্ষাৎ করেন ডেপুটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে।