মাছের ঝোল খেয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের ৩ জনের। পরিবারের আরও এক সদস্যকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের ছাপড়ার সাধোয়ারা গ্রামে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দরিয়াপুর থানার পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সুভাষ রাই (৫০) তাঁর ছেলে বালাজি রাই (১৮) ও ভাইপো বিরাজ রাই(৫)। গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন সুভাষের আরও এক ছেলে মিথিলেশ রাই (২২)।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দরিয়াপুর থানার পুলিশ। তাঁরা রান্নাঘর থেকে অবশিষ্ট মাছের ঝোল বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে সেটির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে। এছাড়াও মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ছাপড়ার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কীভাবে মাছের ঝোল খেয়ে ওই পরিবারের ৩ সদস্যদের মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই স্পষ্ট হবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়াও মাছের ঝোলের ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়ির কর্তা সুভাষ রাই রাতের খাবারের জন্য মাছের ঝোল তৈরি করেন। রাতে সেটা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর বাড়িতেই মৃত্যু হয় বালাজি ও বিরাজের। ওদিকে গুরুতর অবস্থায় সুভাষ ও মিথিলেশকে পাটনার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় সুভাষ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন মিথিলেশ। প্রতিবেশী ও বাড়ির বাকি সদস্যদের দাবি, রাতের খাবারের পর মৃত তিনজনে ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি কেউ।