বিগত কয়েকদিনে বারবার কাশ্মীরে আক্রান্ত হয়েছেন পণ্ডিত সহ আম জনতা। উপত্যকায় ক্রমেই বেড়েছে জঙ্গি কার্যকলাপ। এই আবহে কাশ্মীরে রবিবাসরীয় সকালে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবার রাত থেকে ১২ ঘণ্টার গুলির লড়াই চলে কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। সেই এনকাউন্টারেই নিকেশ হয় তিন লস্কর জঙ্গি। নিহত জঙ্গিরা সবাই কাশ্মীরেরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের নাম - ফাজিল নাজির ভাট, ইরফান মালিক এবং জুনাইদ শিরগোজরি। নিহতদের মধ্যে জুনাইদ শিরগোজরি গত ১৩ মে রিয়াজ আহমেদ নামের এক পুলিশ কর্মীকে হত্যা করেছিল বলে জানান কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়, নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি একে-৪৭ ও একটি পিস্তল-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে কাশ্মীরে অন্তত ১০ জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপত্যকায় অ-মুসলিম এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদে নিশানা করে চলেছে জঙ্গিরা। মাত্র এক মাসের মধ্যে জঙ্গিদের হানায় কাশ্মীরে মারা গিয়েছে গিয়েছেন এক শিক্ষিকা, এক ব্যাঙ্ক কর্মী, এক আবগারি আধিকারিক। কেন্দ্র এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্,োভ উগরে দেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একাংশ। প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি প্রকাশ্যে চলে আসে কাশ্মীরি পণ্ডিত শিক্ষকদের বদলির তালিকাও। কোন শিক্ষককে কোথায় বদলি করা হবে, বিস্তারিত ভাবে সেই তথ্য দেওয়া ছিল এই তালিকায়। এই ঘটনায় তীব্র রোষের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মাঝে এবার উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী।