তামিলনাড়ুতে মর্মান্তিক ঘটনা। বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৩৩ জনের। এছাড়াও অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন মানুষ। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরচি জেলায়। এমন অবস্থায় অসুস্থদের সবরকমভাবে চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন।
আরও পড়ুন: ‘বিষ’ মদে মোরেনায় মৃত বেড়ে ২০, মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, প্রশ্ন কংগ্রেসের
জানা যাচ্ছে, বুধবার তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরচি জেলায় বিষ মদে খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন একের পর এক মানুষ। এরপরেই শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। কাল্লাকুরচির জেলাশাসককে বদলি করে দেওয়ার পাশাপাশি জেলার পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়। এছাড়াও একাধিক পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে সরকার। দুর্ঘটনার পর অবৈধ মদের দোকানে হানা দিয়ে মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি কয়েকশো লিটার মদ ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। রাজ্যে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিএমকে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এই মৃত্যুতে শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ‘বিষ মদ খেয়ে মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে আমি মর্মাহত এবং দুঃখিত। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, এই ধরনের অপরাধকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। শক্ত হাতে তা দমন করা হবে। বিরোধী দলনেতা ইপিএস বিধানসভার অধিবেশনে না গিয়ে আজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবিও এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। রাজভবনের তরফে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘বিষ মদ খাওয়ার কারণে কাল্লাকুরচিতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন জেনে আমি দুঃখিত। যারা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছে জীবনের জন্য লড়াই করছে তাদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’ প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে প্রায়ই বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে বিষ মদ খাওয়ার কারণে এ রাজ্যে প্রায়ই মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এতে সরকারের ত্রুটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।