৫ রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩৫টি জেলায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করোনা রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে ওই এলাকাগুলিতে। সে সব এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোনে আরও কড়াকড়ি এবং করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে এবার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নীচে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়েছে।
ওই ৩৫টি জেলার মধ্যে ৪টি জেলা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তা হল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। রয়েছে দিল্লির ১১টি জেলা। পুণে, নাগপুর, থানে, মুম্বই, নাসিক–সহ কেন্দ্রের নজরে রয়েছে মহারাষ্ট্রের মোট ১৭টি জেলা। গুজরাটের সুরাট, পুদুচেরির পন্ডিচেরি এবং ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিঙ্ঘভূমও রয়েছে নজরদারির আওতায়।
শনিবার ওই পাঁচটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ওই ৩৫টি জেলায় আরও সক্রিয় করোনা নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যসচিবদের। বেশি করে নজর দিতে বলা হয়েছে প্রবীণ করোনা রোগী এবং যাঁদের কোমর্বিডিটির সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের ওপর। ভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, টেস্ট অনেক বেশি পরিমাণে করতে হবে এবং প্রয়োজন পড়লে আরটি–পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
একইসঙ্গে যে সব রোগী বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে তাঁদের প্রতিনিয়ত খোঁজ নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে যাতে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা যায় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। প্রবীণ করোনা রোগীরা যাতে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে তাও দেখতে বলে হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে হাসপাতালে কার্যকর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।