নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাশ করা কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন জানালেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৩৬ জন নির্বাচিত সদস্য। এমপি-দের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাড়াও আছেন অন্যান্য প্রেক্ষিতের নেতা।
সম্প্রতি তাঁরা লেবার পার্টির এমপি তনমনজিৎ সিং ঢেসির সঞ্চালনায় ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডমিনিক রাবকে চিঠি লিখে ভারত সরকারের কাছে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা চাইতে আবেদন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে রাবের সঙ্গে তাঁরা জরুরি বৈঠকে বসতে চান বলেও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাম্প্রতি সফরের পরে এই সংক্রান্ত সবিস্তার আলোচনা সম্পর্কেও তাঁরা জানতে চেয়েছেন।
চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন লেবার পার্টি, কনজার্ভেটিভ পার্টি ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপিরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন, বীরেন্দ্র শর্মা, সীমা মালহোত্রা, ভ্যালেরি ভাজ, নাদিয়া হুইটোম, পিটার বটমলে, জন ম্যাকডনেল, মার্টিন ডোচার্টি-হিউজেস এবং অ্যালিসন থিউলিস।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বিষয়টি ব্রিটেনে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়, যাঁদের সঙ্গে পঞ্জাবের যোগসূত্র রয়েছে, তাঁদের কাছে বিশেষ উদ্বেগজনক। যদিও ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এর প্রভাব পড়েছে। বহু ব্রিটিশ শিখ নাগরিক ও পঞ্জাবিরা তাঁদের এমপি-দের কাছে বিষয়টি তুলেছেন। পঞ্জাবে থাকা পৈতৃক জমি থাকার সুবাদে, এই পরিবারগুলি চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতে তিন কৃষি আইনের প্রভাব সম্পর্কে জানিয়ে ইতিমধ্যে ভারতীয় হাই কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এমপি-দের অভিযোগ, কৃষকদের নিংড়ে নেওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে এবং তাঁদের ফলানো ফসলের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভারতের কৃষক আন্দোলনকারীদের নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা।
বার্মিংহ্যাম এজবাস্টনের লেবার এমপি তথা অল পার্টি পার্লামেন্টারি পার্টি ফর ব্রিটিশ শিখস-এর চেয়ার পার্সন প্রীত কাউর গিল মন্তব্য করেছেন, ‘ভারতের বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল নাগরিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা যায় না।’