সোমবার রাতে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারের পন্তনগরের লক্ষ্মী নগর এলাকায় এমিরেটস বিমানের ধাক্কায় অন্তত ৩৬টি ফ্লেমিঙ্গোর মৃত্যু হয়েছে। মুম্বই বিমানবন্দরের একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫০৮ বিমানটি রাত ৯টা ১৮ মিনিটে পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটি মুম্বই বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। (আরও পড়ুন: সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতেই ভারী বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে,পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের)
আরও পড়ুন: ডিএ-র পর গ্র্যাচুইটি নিয়ে নয়া নির্দেশ, চাকরিজীবীদের মুখের হাসি কেড়ে নিল EPFO
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ওপর বিরক্তি, মেট্রোর কাজ নিয়ে 'মঙ্গলবার্তা' শোনাবে আদালত?
এই ঘটনার পরে অতিরিক্ত চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেল) এসওয়াই রামা রাও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ৩৬টি ফ্লেমিঙ্গোর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, এই পাখিগুলি একটি বিমানের ধাক্কায় মারা যায়। এছাড়া আরও বহু পাখি আহত হয়েছে এই ঘটনায়। বনকর্মীরা আক্রান্ত ফ্লেমিঙ্গোর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সেই অঞ্চলে। এদিকে ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেলের ডেপুটি কনজারভেটর দীপক খাড়ে বলেন, 'বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের পাখির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মী নগরের (ঘাটকোপার পূর্বের উত্তর প্রান্ত) কাছে। (আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এল বড় বদল, দিশা দেখাবে কলকাতার বাকি রুটগুলিকেও)
আরও পড়ুন: কর্মী সংখ্যা কমলেও ক্রমে 'স্মার্ট' হচ্ছে কলকাতা মেট্রো, সামনে এল নয়া তথ্য
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেলের রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার প্রশান্ত বাহাদুরে বলেন, "আমি বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে এই ফ্লেমিঙ্গোগুলি এমিরেটসের একটি ফ্লাইটের সাথে ধাক্কা খেয়েছে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম এই বিষয়ে। ঘটনাটি রাত ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে ঘটেছিল এবং আমাদের দল রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানি কাণ্ডে FIR-এর পরে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে থানায় তলব পুলিশের
এদিকে বনশক্তি নামক এনজিও-র পরিবেশবিদ ডি স্ট্যালিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'আমার মনে হয়, অভয়ারণ্য এলাকার মধ্য দিয়ে নতুন বিদ্যুতের লাইনগুলি পাখিদের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এটা কখনই অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল না। এর অনেক বিকল্প ছিল। বিদ্যুতের লাইনের অনুমতি দেওয়ার সময় বন্যপ্রাণী বোর্ড নিঃশব্দে বিদ্যুৎ সংস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে থানে ক্রিক বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এবং টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছিল।'