পুরনো পারফরম্যান্স এবং রাজনৈতিক চাল। দুইয়ের মিলিত প্রভাবে দ্বিতীয় দফার মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কেউ কেউ বাদ পড়লেন, আবার ভালো কাজ ও রাজনৈতিক কারণে অনেকে মন্ত্রিসভায় প্রবেশ করলেন।
শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার রদবদলের ফলে আরও বড় হল ‘টিম’ মোদী। এতদিন ৫২ জন মন্ত্রী ছিলেন। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৭৭ (প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে)। যা ১৯৯০ সালের পর থেকে তৃতীয় সর্ববৃহৎ এবং সর্বোচ্চ মন্ত্রী মণ্ডলের থেকে মাত্র চার কম। এবার মোট ৩৬ জন নয়া মুখ মন্ত্রী হয়েছেন। সাতজন রাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রী করেছেন মোদী।
ক্যাবিনেট মন্ত্রী : আপাতত মোদীর মন্ত্রিসভায় ৩০ জন সদস্য আছেন। তাতে একাধিক হেরফের হয়েছে। কয়েকজনের দায়িত্ব বদল হয়েছে। কয়েকজন নয়া মুখ আছেন। কয়েকজন আবার এতদিন রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাঁদের ক্যাবিনেট পর্যায়ে মন্ত্রী করা হয়েছে।
১) নরেন্দ্র মোদী - প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কর্মিবর্গ মন্ত্রক, পারমাণবিক শক্তি দফতর, মহাকাশ দফতর এবং অন্যান্য যে সব দফতর মন্ত্রক বা দফতর কাউকে বণ্টন করা হয়নি, তার দায়িত্বে আছেন।
২) রাজনাথ সিং - প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
৩) অমিত শাহ - স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সমবায় মন্ত্রক পেয়েছেন।
৪) নীতিন গড়কড়ি - সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। তাঁর হাতে ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্পের মন্ত্রকও ছিল। তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
৫) নির্মলা সীতারামন - অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।
৬) নরেন্দ্র সিং তোমর - কৃষি মন্ত্রক।
৭) এস জয়শংকর - বিদেশ মন্ত্রক।
৮) স্মৃতি ইরানি - কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। সেইসঙ্গে 'স্বচ্ছ ভারত অভিযানের' দেখভাল করবেন। আগে বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন।
৯) পীযূষ গোয়েল - বাণিজ্য, খাদ্য এবং বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। আগে রেলমন্ত্রী ছিলেন।
১০) ধর্মেন্দ্র প্রধান - নয়া শিক্ষামন্ত্রী হলেন। শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর হাতে আগে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ছিল।
১১) প্রহ্লাদ জোশী - সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রক এবং কয়লা মন্ত্রক।
১২) নারায়ণ টাটু রানে - ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্পের মন্ত্রক।
১৩) সর্বানন্দ সোনোওয়াল - জাহাজ এবং আয়ূষ মন্ত্রক
১৪) মুখতার আব্বাস নকভি - সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক।
১৫) বীরেন্দ্র কুমার - সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক।
১৭) গিরিরাজ সিং - গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রক।
১৮) জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া - অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক।
১৯) রামচন্দ্র প্রসাদ সিং - লৌহ মন্ত্রক।
২০) অশ্বিনী বৈষ্ণ - রেলমন্ত্রী হলেন প্রাক্তন আমলা। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি এবং কমিউনিকেশন মন্ত্রকের দায়িত্বও পেলেন তিনি।
২১) পশুপতি কুমার পরশ - খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক।
২২) গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত - জলশক্তি মন্ত্রক।
২৩) কিরেণ রিজিজু - আইন মন্ত্রক।
২৪) হরদীপ সিং পুরী - পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক এবং আবাসন ও নগরায়ন বিষয়ক মন্ত্রক।
২৫) রাজ কুমার সিং - শক্তি এবং অপ্রচলিত ও পুনর্নবীকরণ শক্তি মন্ত্রক।
২৬) মনসুখ মাণ্ডবিয়া - নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন মাণ্ডবিয়া। সেই মন্ত্রকের সঙ্গে রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আগে রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক এবং বন্দর ও জলপথ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
২৭) ভূপেন্দর যাদব - পরিবেশ. বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।
২৮) পুরষোত্তম রূপালা - মৎস্য, প্রাণীসম্পদ ও দুগ্ধজাত মন্ত্রক।
২৯) জি কিষাণ রেড্ডি - সংস্কৃতি, পর্যটন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন মন্ত্রক।
৩০) অনুরাগ সিং ঠাকুর - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেইসঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রকও পেয়েছেন। আগে অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
৩১) মহেন্দ্রনাথ পান্ডে - ভারী শিল্প মন্ত্রক।

রাষ্ট্রমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) :
১) রাও ইন্দরজিৎ সিং- পরিসংখ্যান মন্ত্রক, পরিকল্পনা মন্ত্রক এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।
২) জিতেন্দ্র সিং - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কর্মিবর্গ মন্ত্রক, পারমাণবিক শক্তি দফতর এবং মহাকাশ দফতর।
রাষ্ট্রমন্ত্রী : ৪৫ জনকে রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। তাতে নতুন মুখের ছড়াছড়ি বাংলা থেকে মোট চারজন রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। ত

বাংলা থেকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক), সুভাষ সরকার (শিক্ষা মন্ত্রক), জন বারলা (সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক) এবং শান্তনু ঠাকুর জাহাজ মন্ত্রক)।