হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩.৬ শতাংশ রোগীদের শরীরে ফাঙ্গাল বা ভাইরাল সংক্রমণ রয়েছে। কোনও কোনও হাসপাতালে মাত্র ১.৭ শতাংশ এমন রোগী থাকলেও, কিছু কিছু হাসপাতালে এমন রোগীর হার ২৮ শতাংশ পর্যন্ত। আর এই কারণেই দেশে মৃত্যুর হার এতটা বেশি। এমনই দাবি করা হয় আইসিএমআর-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায়।
আইসিএমআর-এর গবেষণা বলছে শরীরে ফাঙ্গাল বা ভাইরাল সংক্রমণ রয়েছে এমন করোনা রোগীর মৃত্যুর হার ৫৬.৭ শতাংশ। তবে ফাঙ্গাল বা ভাইরাল সংক্রমণ বিহীন করোনা রোগীদের (হাসপাতালে ভর্তি হওয়া) মৃত্যুর হার মাত্র ১০.৬ শতাংশ। ১০টি হাসপাতালে চালানো এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর। আইসিএমআর জানিয়েছে, এই হাসপাতালগুলির একটিতে ফাঙ্গাল বা ভাইরাল সংক্রমণ থাকা করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার ৭৮.৯ শতাংশ ছিল।
গবেষণায় যুক্ত থাকা আইসিএমআর-এর গবেষক, ডঃ কামীনি ওয়ালিয়া এই বিষয়ে বলেন, 'আমরা সমীক্ষায় দেখতে পাই যে অধইকাংশ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোনও সংক্রমণ হাসপাতাল থেকেই ছড়াচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৭৮ শতাংশ রোগীর শরীরে দ্বিতীয় সংক্রমণ হাসপাতাল থেকেই এসেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই দিন পর থেকে এর উপসর্গ দেখা দিতে শুরু হতে পারে। হতে পারে করোনার মাঝে হাসপাতালের হাইজিন নীতি ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে না। আর তাই এই দ্বিতীয় সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রায় ৪৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণ মাল্টি ড্রাগ প্রতিরোধী হিসাবে দেখা গিয়েছে। তবে নির্ধারিত অ্যান্টিমাইক্রোবায়ালের মধ্যে ৭৮ শতাংশেরও বেশি ওয়াচ এবং রিজার্ভ বিভাগ থেকে ছিল। সমীক্ষার সব হাসপাতালেই ভালো ল্যাব পরিষেবা রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাইক্রোবায়াল নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না।'
জানা গিয়েছে, আইসিএমআর-এর সমীক্ষাটি করা হয় ১০টি হাসপাতালে ভর্তি মোট ১৭ হাজার ৫৩৪ রোগীর উপর। গতবছরের ১ জুন থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত এই সমীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই রোগীদের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ১৬৩ জনের নমুনা মাইক্রোবায়াল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালগুলির তরফে।