দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমদাবাদ বিস্ফোরণের রায়দান করে দোষীদের সাজা শোনাল আদালত। আমদাবাদের বিশেষ আদালত এই সাজা শোনাল। বাকি ১১ জন দোষীকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আমদাবাদ। ৭০ মিনিটে ২১টি বিস্ফোরণ হয়েছিল সেদিন। এই হামলায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় আরও প্রায় ২৪০ জন জখম হয়েছিলেন। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার বদলা নিতেই নাকি এই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার দিন জখম ব্যক্তিদের যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন সেখানেও হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ঘটনায় সামনে আসে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম। সেই সময গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। আদালতে সাক্ষ প্রমাণের উপর সওয়াল জবাবের পর প্রাক্তন সিমি নেতা সফদার নাগোরিকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গিয়েছিল, হামলায় ব্যবহৃত আইইডিগুলি তৈরি করেছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের আজমগড় মডিউল। আমদাবাদে হামলার আগে সুরাতে এই আইইডিগুলো রাখা হয়েছিল। এর পেছনে ছিল রিয়াজ ও ইকবাল ভাটকলের গ্রুপ। কর্নাটকের জিহাদি গ্রুপের হাতও ছিল এই হামলার পিছনে। একটি ভুয়ো রেজিস্ট্রেশনযুক্ত গাড়ি ও খবর কাগজে মোড়া আইইডি দেখেই এই ঘটনায় বরোদা যোগের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। কারণ খবরের কাগজটি ছিল বরোদা থেকে প্রকাশিত। এরপর বরোদায় তদন্তে নেমে একাধিকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আজমগড়, দিল্লি, মুম্বইতেও তল্লাশি চলে। বড়সর মডিউলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা।