প্রবল বৃষ্টিতে হড়পা বান এবং ভূমিধসের জেরে বিধ্বস্ত নেপাল। জোড়া ধাক্কায় গত ২০ দিনে সাতজন শিশু-সহ কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০-এরও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি, সেতু।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হড়পা বান এবং ভূমিধসের জেরে আহত হয়েছেন ৫১ জন। তিনজন শিশু-সহ ২৪ জনের হদিশ মিলছে না। সিন্ধুপালচক জেলায় পাঁচজন, দোতি জেলায় চারজন, গোর্খা ও রোলপা জেলায় মোট ছ'জন, চিতাওয়ান, তানহুন, পাইথান ও রাউতাহাটে দু'জন করে মানুষের মৃৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ললিতপুর, খোটাং, সাপতারি, কাভরে, ধাদিং, সিন্ধুলি, জুমলা, অর্ঘখাছি, দ্যাং, পালপা, কাসকি, কালিকট, পাঁচখার, বাঝাং এবং বাজপুরে একজন করে মারা গিয়েছেন। সেইসঙ্গে ৭৯০ টি বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ৫১৯ টি বাড়ি, ৯০ টি গো-শালা এবং ১৯ টি সেতু ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ২০ দিনে ৫,১০০-এর বেশি মানুষ বাড়িছাড়া হয়ে গিয়েছেন।
ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজে নেপাল সেনা, পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনীকে নামানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে উদ্ধারকাজ। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ১,২৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তারইমধ্যে সেই প্রবল বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে ভারতেও। উত্তর বিহারে ভারী বৃষ্টির কারণে বিহারের বেশিরভাগ প্রধান নদীতে জলস্তর বেড়েছে 'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর বিহার এবং কোশী এলাকায় ২৪ জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। চনপটিয়ায় সবথেকে বেশি ২০৪ মিলিমিটার বৃৃষ্টি করা হয়েছে। গঙ্গা ছাড়া বাকি সব প্রধান নদীগুলিতে জল লালসীমার উপর দিয়ে বইছে।