মে মাসের প্রথম দিনেই দুর্ঘটনা। আমাজন অরণ্যের কলোম্বিয়ার অংশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল একটি ছোট বিমান। বিমানে সব মিলিয়ে বিমানচালক ছাড়া ছিলেন ৬ যাত্রী। হঠাৎই বিমানের যন্ত্র বিগড়ে যায়। আর জঙ্গলের মধ্যেই ভেঙে পড়ে সেই বিমান। এর পর থেকেই গোটা কলোম্বিয়া তোলপাড়। আলোচনার কেন্দ্রে চার শিশু।
কলোম্বিয়ার আমাজন অরণ্যের উপর দিয়ে যে বিমানটি উড়ে যাচ্ছিল, তার মধ্যে ছিলেন, এক মা এবং তাঁর চার সন্তান। বড় জনের বয়স ১১ বছর। আর ছোট জনের মাত্র কয়েক মাস। বিমানটি ভেঙে পড়ার পরে তার সম্পর্কে আর কোনও খোঁজ ছিল না প্রশাসনের কাছে। জঙ্গল তোলপাড় করে খোঁজা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় বিমান। শুধু বিমানই নয়, তার সঙ্গে পাওয়া যায় বিমানচালক, চার শিশুর মা এবং অন্য একজনের মৃতদেহ। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি, চার শিশুর সন্ধান।
(আরও পড়ুন: আপনিও কি মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করেন? হতে পারে এই বড় রোগ)
(আরও পড়ুন: ধুন্ধুমার লড়াই হাতি ও গণ্ডারে! কে জিতল শেষ পর্যন্ত? রুদ্ধশ্বাস ভিডিয়ো ভাইরাল)
বিমান দুর্ঘটনার জায়গা থেকে চার শিশু নিখোঁজ হওয়ার পরে সারা দেশে তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এমনকী দেশের প্রেসিডেন্টও জানান, তিনি উদ্বিগ্ন। এরই মধ্যে খবর আসে, চার শিশুকে নাকি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, সেই আন্দাজও সঠিক প্রমাণিত হয়নি।
এর পরেই জঙ্গলে মারাত্মক গতিতে তল্লাশি চালাতে থাকে সেনাবাহিনী। তাদের উদ্যোগ যে ব্যর্থ হয়নি, তার প্রমাণ পাওয়া গেল শুক্রবার। শেষ পর্যন্ত জঙ্গলেই পাওয়া গেল এই চার শিশুকে। তার সকলেই সুরক্ষিত এবং নিরাপদ বলে জানা গিয়েছে। তল্লাশি চালানো সেনারা তাদের সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেই ছবি আবার কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন সুখবরটি। বলেছেন, সারা দেশ যাদের নিয়ে শঙ্কায় ছিল, সেই চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা নিরাপদ।
কিন্তু এই ৪০ দিন কী করে জঙ্গলে বেঁচে রইল তারা? এখনও তা নিয়ে সংশয় কাটছে না কারও। এই ক’দিনে তারা কী খেয়েছে, জল পেয়েছে কোথায়— এই সব বিষয় নিয়ে রয়েছে বিরাট সংশয়। শিশুদের শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই জানা যাবে এই ৪০ দিনে ঠিক কী কী হয়েছে।