চার কংগ্রেস সাংসদকে লোকসভা থেকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল গত ২৫ জুলাই। তবে সেই চার সাংসদেরই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি মেনে সংসদে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বিরোধী সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। পদক্ষেপটি কেরছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপর থেকেই লোকসভায় অচলাবস্থা চালু হয়েছিল। তবে কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার পর আজকে অচলাবস্থা শেষ হয়।
এর আগে ২৫ জুলাই প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদের নিম্ন কক্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধান বিরোধী সাংসদরা। এরপরই সাসপেন্ড করা হয়েছিল মানিকম ঠাকুর, রম্য হরিদাস, জোঠিমনি এবং টিএন প্রথাপনকে। এর আগে, স্পিকার ওম বিড়লা সমস্ত দলকে অনুরোধ করেন যাতে লোকসভার ভিতরে কেউ প্ল্যাকার্ড না আনেন। তা না হলে তিনি কঠোর পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
ওম বিড়লা বলেন, ‘আমি সংসদের সমস্ত পক্ষকে অনুরোধ করব যে লোকসভার ভিতরে প্ল্যাকার্ড আনা উচিত নয়। যদি সংসদ সদস্যরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন, তাহলে আমি সরকার বা বিরোধীদের কথা শুনব না এবং অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমি তাঁদের শেষ সুযোগ দিচ্ছি।’ এই আবহে আজও বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে প্রথমে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করা হয়েছিল। পরে দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভা। দুটোর সময় লোকসভার কার্যক্রম শুরু হলে কংগ্রেসের চার সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাবনা পাশ করা হয়।