আপাতত তেসরা মে অবধি চলছে লকডাউন। কিন্তু যদি লকডাউন না ওঠে ও ইলেকট্রিনকস জিনিসের বিক্রির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা না ওঠে, তাহলে দেশের বড় সংখ্যক মানুষ অকেজো মোবাইল নিয়ে বসে থাকবেন, এমনটাই পূর্বাভাস এক বাণিজ্য সংগঠন। বর্তমানে আড়াই কোটি মানুষ অকেজো মোবাইল নিয়ে লকডাউনে দিন যাপন করছেন, বলেও সংস্থার দাবি।
কেন্দ্র থেকে অবশ্য শনিবার মোবাইলের দোকান খোলা যাবে বলে জানান হয়েছে। তবে মল চত্বরে সেই দোকান অবস্থিত হলে তা চালু হবে না। রেড জোনে অবস্থিত শহরের কন্টেনমেন্ট জোনের জন্য এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। একই সঙ্গে দোকান খোলার ক্ষেত্রে লাগবে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি, বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
India Cellular and Electronics Association (ICEA) তাদের পুরনো পরিসংখ্যান ব্যবহার করে এই সংখ্যাটিকে কষেছে। প্রসঙ্গত টেলিকম, ইন্টারনেট, ব্রডক্যাস্ট ও আইটি সার্ভিস চালু থাকলেও সেগুলি খারাপ হয়ে গেলে সারাবার কোনও পথ ছিল না এতদিন। কারণ সেই দোকানগুলি চালু করার কোনও অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র।
ICEA-এর হিসাব মতে মাসে আড়াই কোটি ফোন বিক্রি হয়। এর মধ্যে অনেকগুলিই পুরনো ফোন। প্রায় ০.২৫ শতাংশ ফোন খারাপ হয় মাসে। বর্তমানে ৮৫ কোটি মানুষের কাছে ফোন আছে। তো সেই হারে হিসাব করলে এখন আড়াই কোটি মানুষের ফোন খারাপ হয়ে পড়ে আছে বলেই জানিয়েছে ICEA.
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় মোবাইলকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বারবার তদ্বির করেছে ICEA. এমনকী খোদ মোদীকেও বলেছে তারা। সংগঠনের দাবি প্রাথমিক ভাবে অনলাইন ও ধীরে ধীরে অফলাইন মোবাইল ডিভাইস বিক্রি শুরু হোক। একই সঙ্গে খুলুক সার্ভিস স্টোরগুলি। না হলে মে মাসের শেষে চার কোটি মানুষের কাছে অকেজো ফোন থাকবে বলে সংগঠনের দাবি।
আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে এমনি মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্সের দোকান খোলা যাবে। কিন্তু ই-রিটেল চলবে না। মলও খোলা যাবে না। তবে এই ছাড় শুধু যেগুলি কন্টেনমেন্ট জোন নয়, সেখানেই প্রযোজ্য। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে খুলতে হবে দোকান।
ICEA চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রু জানিয়েছেন যে অনেক জেলায় আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তো মোবাইল যদি নাই থাকে, তাহলে আর অ্যাপ আসবে কোথা থেকে? বাণিজ্য সংগঠন CAIT-র সঙ্গে একযোগে এই নিয়ে তদ্বির করে চলেছে ICEA. ল্যাপটপ সহ মোবাইল ডিভাইস বেচাকেনার ওপর ছা়ড় দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকও। তারপর শনিবার এল আংশিক ছাড়।