বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশে ‌বেআইনি প্রবেশ, ধৃত ঝড়খালির ৪ মৎসজীবী

মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশে ‌বেআইনি প্রবেশ, ধৃত ঝড়খালির ৪ মৎসজীবী

মাছ ধরতে বেরিয়ে বাংলাদেশে গ্রেফতার ঝড়খালির ৪ মৎসজীবী, উৎকণ্ঠায় পরিবার: ছবি (‌স্ক্রিন শর্ট)‌

ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন চার মৎসজীবী। কিন্তু কখন যে তাঁরা ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলেন, তা ‌ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউই। ফলে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার অভিযোগে ওই চার মৎসজীবীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের বনদফতর। 

শনিবার রাতে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাটি টহল ফাঁড়ি এলাকার পাকড়াতলী চর থেকে ওই চার মৎসজীবীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ বন দফতরের ও পুলিশ। রবিবার ধৃত মৎসজীবীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই চার মৎসজীবীরা সুন্দরবনের ঝড়খালি এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার দিন থেকেই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ওই মৎসজীবীদের পরিবার। তাঁদের প্রিয়জনদের গ্রেফতারির কথা জানতে পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের পরিবারে মহিলারা। রাজ্য সরকারের কাছে মৎসজীবীদের পরিবারের কাতর আবেদন, বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হোক তাঁদের প্রিয়জনদের।

ওদিকে সাতক্ষীরার নীলডুমুর থানার আধিকারিক সুলতান আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত ও প্রজনন মরশুম হওয়ার কারণে এই তিন মাস সুন্দরবনের মৎস্য ও মৎস্যজাত সব ধরনের জলজ প্রাণী শিকার সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই ৪ মৎসজীবী বাংলাদেশের সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরছিলেন। সেই অপরাধে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বন আইন ১৯২৭ সাল (২০০০ সালে সংশোধীত) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মৎসজীবীদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ অগস্ট একটি ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে বের হন ঝড়খালি পার্বতীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকাশ মণ্ডল, ঝড়খালি বিবেকানন্দ পল্লীর কৃষ্ণ শিকদার, ঝড়খালি বাজার এলাকার বাসিন্দা অলোক সর্দার ও গুরুদাস সর্দার। কিন্তু বুঝতে না পেরে তাঁরা ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তার পরেই তাদের আটক করে বাংলাদেশ বন দফতর ও পুলিশ। 

অন্যদিকে, যে মোটর বোটে তাঁরা গিয়েছিলেন তার মালিক প্রথম ওই চারজন মৎসজীবীর গ্রেফতারির খবর পান। সাতক্ষীরায় তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই তিনি ওই বোটের মালিককে জানান। তার পরেই ওই চার মৎসজীবীর গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসে। ওই খবর ছড়াতেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ধৃত চারজনের পরিবারে। কারণ, রাজ্য সরকার তাঁদের ছাড়ানোর উদ্যোগ না-‌নিলে, ওই চারজন মৎসজীবীর ফেরা সহজ হবে না-বলেই মনে করছেন তাঁরা। পরিবারগুলির আবেদন, চার জনকে ফেরানোর উদ্যোগ নিক রাজ্য সরকার।

বন্ধ করুন