DEHRADUN : বুধবার সন্ধ্যায় দেরাদুনের রাজপুর রোডে সাই মন্দিরের কাছে একটি দ্রুতগামী বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি তাদের ধাক্কা দিলে চার পথচারী নিহত এবং দুই চাকার গাড়িতে থাকা আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এমনই তথ্য জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা।
পুলিশের মতে, চণ্ডীগড় নম্বর প্লেটযুক্ত মার্সিডিজ গাড়িটি দ্রুতগতিতে এবং বিপজ্জনকভাবে চালানোর সময় চারজন শ্রমিক এবং UK 07-AE-5150 নম্বরের একটি স্কুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার পথচারী শ্রমিক নিহত হন এবং অন্য দুজন আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুই ব্যক্তির নাম মানশারাম (৩০) এবং রঞ্জিত (৩৫)। তারা উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার বাসিন্দা। অন্য দুইজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আহত দুইজন - উত্তর প্রদেশের হারদোইয়ের বাসিন্দা ধনিরাম এবং বিহারের সীতামারহির বাসিন্দা মোহাম্মদ সাকিব - কে দ্রুত নিকটবর্তী উত্তরাখণ্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাঁদের সরকারি দুন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সিনিয়র পুলিশ সুপার অজয় সিং বলেন, ‘আহত উভয়েরই পায়ে আঘাত লেগেছে এবং তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চার শ্রমিকের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং পঞ্চায়েতনামার প্রক্রিয়া চলছে।’তিনি বলেন‘আমরা একটি নিবিড় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি এবং গাড়ির যাত্রীদের ধরার জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সমস্ত থানাকে অবহিত করেছি।’ এসএসপি বলেন, জানা গিয়েছে যে নিহত ব্যক্তি নদীর ওপারে কাঠবাংলা এলাকায় থাকতেন এবং শিবম নামে এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন।
আরও এক সংঘর্ষের ঘটনা
১২ নভেম্বর, দেরাদুনের ওএনজিসি চকের একটি প্রধান মোড়ে রাত ১.৩০ টার দিকে একটি ইনোভা গাড়ির সাথে দ্রুত গতিতে চালিত একটি কন্টেইনার ট্রাকের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন।
প্রতি বছর, দেরাদুনে ১,০০০-এরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়, পাহাড়ি ভূখণ্ডের ঝুঁকিপূর্ণ, আঁকাবাঁকা এবং সরু রাস্তাগুলি প্রায়শই বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বর্ষা এবং শীতকালে এই সমস্যাটি বিশেষভাবে তীব্র হয়। সেসময় দৃশ্যমানতা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় ফলে গাড়িতে সফরকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০% কমাতে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সভাপতিত্বে ১২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা সড়ক নিরাপত্তা নীতি, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এই নীতির প্রাথমিক লক্ষ্য হল সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নিরাপদ অবকাঠামো গড়ে তোলা, সড়ক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ম জোরদার করা, দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য জরুরি চিকিৎসা সেবা জোরদার করা।