২০৩০ সালের মধ্যে এআই-এর মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি এবং কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স সেক্টরে অন্তত ৪০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যখন বিশ্বজুড়ে কাজের ধরন বদলে দিচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আশার কথা শোনাল নীতি আয়োগ। তবে অটোমেশনের কারণে কিছু গতানুগতিক কাজের সুযোগ কমতে পারে।
আরও পড়ুন-প্রতিশোধের আগুনের গ্রাসে সীমান্ত! আফগান-পাকিস্তান তুমুল সংঘর্ষ, নেপথ্যে কে?
নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুহ্মমণ্যম ‘এআই অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান তৈরির রোডম্যাপ’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে এআই কর্মক্ষেত্র, কর্মী এবং কর্মশক্তির সামগ্রিক কাঠামোকে নতুন করে সাজিয়ে তুলছে। একই সঙ্গে রিপোর্টটি সতর্ক করে, প্রযুক্তিনির্ভর পরিষেবা ক্ষেত্রে এআই যেমন একদিকে সুযোগের দরজা খুলে দিচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে ঝুঁকিও তৈরি করছে।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। কর্মসংস্থান বাজারে এআই-এর প্রভাবের দিকে দ্রুত মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন এবং একটি 'সাহসী ও কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা' এর পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে। ইতিমধ্যে ভারতের ২৪৫ বিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তি এবং কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স সেক্টরগুলি এআই-র কারণে ব্যাহত হচ্ছে। বড় পদক্ষেপ না নিলে ২০৩১ সালের মধ্যে মানুষ চাকরির ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
আরও পড়ুন-ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা! চাপের মুখে মহিলা সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস মিট আফগান বিদেশমন্ত্রীর
নীতি আয়োগের সিইও সুব্রহ্মণ্যম বলেন, 'ভারতের শক্তি নিহিত রয়েছে তার জনগণের মধ্যে। ৯ মিলিয়নেরও বেশি প্রযুক্তি ও কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স পেশাদার এবং বিশ্বের বৃহত্তম তরুণ ডিজিটাল প্রতিভার ভান্ডার আমাদের কাছে রয়েছে। আমাদের এখন দরকার তাৎক্ষণিকতা, দূরদৃষ্টি এবং সমন্বয়।' এই প্রযুক্তিগত পরিবর্তনকে সুযোগে পরিণত করতে, এই থিঙ্ক ট্যাঙ্ক একটি জাতীয় এআই প্রতিভা মিশন প্রস্তাব করেছে। এই মিশনের লক্ষ্য হলো ভারতকে এআই দক্ষতা ও সক্ষমতার একটি গ্লোবাল হাবে রূপান্তরিত করা। থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি এআই উন্নয়নের জন্য তিন-স্তরের কাঠামো সুপারিশ করেছে: শিক্ষায় এআই সাক্ষরতা অন্তর্ভুক্ত করা, একটি জাতীয় দক্ষতা বৃদ্ধির ইঞ্জিন তৈরি করা এবং পার্টনারশিপ ও পরিকাঠামোগত সহায়তার মাধ্যমে ভারতকে এআই প্রতিভার জন্য একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। রিপোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে- ভারতীয় এআই প্রতিভার চাহিদা ২০২৪-২৬ সালের মধ্যে ৮ লক্ষ থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ থেকে বেড়ে ১২ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।