আগামী ১৯ বা ২০ মে ফ্রান্স থেকে দেশে এসে পৌঁছতে চলেছে আরও ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান। এই বিমানগুলি আম্বালায় অবতরণ করবে। এবং এই বিমানগুলি ভারতে আসতেই এগুলিকে পাঠানো হবে বাংলার হাসিমারা বেসে। হাসিমারার ১০১ 'ফ্যালকনস অফ চ্যাম্ব' স্কোয়াড্রেনকে ফের সচল করে তোলা হবে। এদিকে ৪টি নতুন রাফালের আগমনের সাথেই দেশে এই যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৪-এ।
এদিকে রাফালের আগমন এবং ১০১ স্কোয়াড্রেনের পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে সেজে উঠছে হাসিমারা। উত্তরবঙ্গে ভারত-ভূটান ট্রাইজংশনে অবস্থিত এই বেস ভৌগলিক ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই হাসিমারাকেই রাফালের দ্বিতীয় ঘাঁটি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। হাশিমারা বিমানঘাঁটি পুরোপুরি সংস্কার করা হয়েছে এবং এ মাসের শেষের দিকে তা চালু হয়ে যাওয়া উচিত। শান্তিকালীন অবস্থা এটি হবে রাফাল যুদ্ধবিমানের দ্বিতীয় ঘাঁটি। তবে যুদ্ধের সময়ে, যুদ্ধের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের যে কোনও জায়গা থেকে উড়বে রাফাল। এই আবহে হাসিমারায় শেষবেলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে অবস্থিত হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিটি ৫০ বছরেরও পুরোনো। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বায়ুসেনার এই ঘাঁটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। পরবর্তীকালে উত্তর-পূর্ব ভারতে যদি চিন আগ্রাসন দেখায়, তাহলে এই বিমান ঘাঁটি ফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চিনের সঙ্গে চলমান বিবাদকে মাথায় রেখেই আম্বালার পর হাসিমারাকে রাফালের দ্বিতীয় ঘাঁটি হিসেবে বেছে নিয়েছে বায়ুসেনা।
এদিকে গতবছর ২৭ জুলাই মাসে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান আসে। সেসময় একসঙ্গে ৫টি বিমান আনা হয়। এর পর নভেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খেপে রাফালে ভারতে এসেছিল। এরপর চলতি বছরে মার্চ ও এপ্রিলেও আরও রাফাল এসে পৌঁছয় ভারতে। ভারত সরকারে তরফে মোট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা হয়েছে ফ্রান্সের কাছ থেকে। যার জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা। আগামী সপ্তাহে দেশে আরও চারটি বিমান আসবে। এরপর আরও যে কটা বিমানের আসার কথা থাকবে, সেগুলি চলতি বছরের শেষার্ধ্বে পাঠানো হতে পারে।