মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের পর সকলের নজর এখন একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিকে। শিবসেনার ৪০ জন বিদ্রোহী সহ মোট ৫০ জন বিধায়কের মধ্যে কে কে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী হবেন, সবার চোখ সেই দিকে স্থির। ক্যাবিনেট সম্প্রসারণের পর শিন্ডে গোষ্ঠীতে নতুন করে বিদ্রোহ দেখা দেয় কিনা তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে অনেকের মনে। এই আবহে এবার এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য একজন বিধায়কের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
মহারাষ্ট্রে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আগে, অনেক বিধায়ক মন্ত্রী পদ পেতে নন্দনবন (একনাথ শিন্ডের বাংলো) এবং সাগরে (দেবেন্দ্র ফড়নবিসের বাংলো) ভিড় করছেন৷ এরই সুযোগ নিয়ে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী পদ পাওয়ার নামে তিনজন বিধায়ককে প্রতারণার চেষ্টা করেন চারজন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা প্রথমে বিধায়কদের ডেকে জানান যে তারা দিল্লি থেকে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, সিনিয়র মন্ত্রীরা তাঁর জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছেন। এর পরে, অভিযুক্তরা ফোনে দুই-তিনবার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে এবং জানায় যে তাঁরা যদি মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী পদ চান তবে তাঁদের ১০০ কোটি টাকা দিতে হবে। ফোনালাপের পর অভিযুক্তরা ১৭ জুলাই ওবেরয় হোটেলে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন।
বৈঠকে বলা হয়, কেউ মন্ত্রিসভায় স্থান চাইলে তাঁকে ১০০ কোটি টাকা দিতে হবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ এখন দিতে হবে এবং বাকি টাকা শপথ নেওয়ার পর দিতে হবে। এই আবহে অভিযুক্তরা গত সোমবার বিধায়কদের নরিমান পয়েন্টে দেখা করতে ডেকেছিল। সূত্রের খবর, মুম্বই পুলিশ এই বিষয়ে জানতে পারে এবং তারপরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্টি-এক্সটর্শন সেল ফাঁদ পেতে একজনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও ৩ অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছে। এক বিধায়কের ব্যক্তিগত সচিবের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে।অভিযুক্তদের নাম হল রিয়াজ আল্লাবাক্স শেখ, যোগেশ মধুকর কুলকার্নি, সাগর বিকাশ সাংওয়াই এবং জাফর আহমেদ রশিদ আহমেদ উসমানি। এই ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত আরও কতজন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং কতজন তাদেরকে টাকা দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।