সাতসকালে পুণের হিঞ্জেওয়াড়ি এলাকায় বাসে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। তাতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়াও, আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ একটি বেসরকারি সংস্থার মিনি বাসে আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই বাসে করে হিঞ্জেওয়াড়ির একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা বাসে আগুন লেগে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: কলকাতার কলেজস্ট্রিটে দাউ দাউ করে জ্বলে গেল চলন্ত সরকারি বাস, দেখুন ছবি!
তথ্য অনুযায়ী, মিনি বাসের ভিতরে ‘ভিওমা গ্রাফিক্স’ কোম্পানির ১৪ জন কর্মী ছিলেন। তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই চালকের কেবিনে আগুন লাগে। আগুন দেখে চালক লাফিয়ে পড়েন। আট জন যাত্রী কোনওভাবে বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে বাকিরা আটকে পড়েন। সামনের দিকে আগুন লাগায় তাঁরা সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি। বাসের পিছনের দিকে আরও একটি দরজা ছিল। কিন্তু, সেটি খুলতে পারেননি কর্মীরা। যারফলে বাসের ভিতরে আটকে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। হিঞ্জেওয়াড়ি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর কানহাইয়া থোরাট জানান, আগুন লাগার পরেই চালক আসন ছেড়ে লাফিয়ে পড়ায় গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের সকলকে হিঞ্জেওয়াড়ির রুবি হল ক্লিনিকের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুজনের শরীরের ৪০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গিয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজনের ২০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে এবং একজনের ৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। আর একজনের অবস্থা স্থিতিশীল।
পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় পুরসভার একজন দমকল আধিকারিক জানান, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে কর্মীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তারা ভিতরে আটকে পড়া কর্মীদের উদ্ধার করার সময় পাননি। পরে আগুন নেভানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা করছেন। এদিকে, হিঞ্জেওয়াড়ির কাছে এই দুর্ঘটনার পর আইটি কর্মচারী ইউনিয়ন দাবি করেছে যে কর্মীদের বহনকারী যানবাহনগুলির নিরাপত্তা অবিলম্বে অডিট করা উচিত।