সরকারি পরিসংখ্য়ান বলছে,গত দুবছরে রাজস্থানের থর মরুভূমি থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমেছে। এর জেরে সরকারে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে সরকারি তরফে বলা হয়েছে কোভিডের ধাক্কাতেই উৎপাদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যখন একলাফে বেড়ে গিয়েছে তখনই রাজস্থানে এই পরিস্থিতি। পাশাপাশি তৈল উৎপাদনকারী এলাকা বার্মার থেকে কাছেই রাজস্থানের গঙ্গানগরে জ্বালানি তেলের দাম দাঁড়িয়েছেন ১১০টাকা প্রতি লিটার।
রাজস্থানের বার্মারে দেশের বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎসস্থল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ সালে এখানে সরকারি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩৮৮৩.২২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯০৪.৭৯ কোটি টাকা। এদিকে তৈলক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি টাকা করে রাজস্ব খাতে সরকারের ঘরে জমা পড়ার কথা। তবে সরকারি আধিকারিকদের মতে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে জুলাই মাস পর্যন্ত তৈলক্ষেত্র থেকে প্রায় ১১৯৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু টার্গেট ধরা হয়েছিল ৩৫০০ কোটি টাকা। এই ঘাটতি ভাবাচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের। স্থানীয় সূত্রে খবর দেড় দশক আগে রাজস্থানের বার্মারে তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। তখন বার্মার ছিল ছোট্ট একটা জনপদ। এরপর এখানে তৈল উত্তোলন শুরু হয়। স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদ রাকেশ শর্মা বলেন, এলাকায় তেল উত্তোলন হচ্ছে। রাজস্থানের সেই অখ্যাত গ্রামটাই এখন জমকালো শহরে পরিণত হয়ে গিয়েছে।