মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যে রাতারাতি কয়েক ডজন বিধ্বংসী টর্নেডো তাণ্ডবলীলা দেখিয়ে চলে গেল। যার জেরে শনিবার ৮০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছে কেন্টাকি সহ বেশ কয়েকটি স্থাবে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেন যে এটি ‘ইতিহাসের বিধ্বংসীতম’ ঝড়ের একটি। জো বাইডেন টেলিভিশন বার্তায় বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখনও জানি না যে এর জেরে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কেও আমরা সঠিক ভাবে অবগত নই।’
শুক্রবার মধ্যরাতে আমেরিকার কেন্টাকি রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল টর্নেডো। জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ৪০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে টর্নেডো বয়ে গিয়েছে আরকানসাস থেকে কেন্টাকি পর্যন্ত। কেন্টাকিতে এক মোমবাতি কারখানার ছাদ উড়ে গিয়েছিল টর্নেডোর দাপটে। সেই ঘটনাতেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের সময় কারখানায় বহু শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কারখানার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতের শিফটে সেখানে ১১০ জন কর্মী কাড করছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকে আটকে। এর জেরে ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।
এদিকে ইলনয় রাজ্যে অবস্থিত অ্যামাজনের একটি গুদামেও ছয়জন কর্মী মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জেফ বেজোস। জানা গিয়েছে বড়দিনের আগে সব অর্ডার প্যাক করতেই অত রাতে শিফটে কাজ করছিলেন অ্যামাজনের সেই কর্মীরা। এদিকে কেনটাকি গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার আশঙ্কা, এই তাণ্ডবের জেরে শুধুমাত্র কেনটাকিতেই ১০০ জনের বেশি প্রাণহানী হয়ে থাকতে পারে।