শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রী এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধার্য IGST মুকুব করা হল। পাশাপাশি, দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, সেদিকে নজর রেখে অ্যামফোটেরিসিন বি-এর উপরেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হবে। বৈঠকে করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রীর উপর IGST মুকুব করা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এদিকে শুক্রবারের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, ভারতের দুই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য জায়গার টিকা উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একটি দল গঠিত হয়। আগামী দশদিনে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
করোনা সামগ্রীর উপর IGST মুকুব ছাড়াও শুক্রবারের বৈঠকে করদাতাদের লেট ফি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ক্ষুদ্র করদাতাদের লেট ফির সর্বাধিক অঙ্ক কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। করদানের পরবর্তী সময়কালের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। করদাতারা এখন তাঁদের বকেয়া রিটার্ন জমা করলে লেট ফি সংক্রান্ত নতুন নিয়মের সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে যে করদাতাদের টার্নওভার ২ কোটি টাকার কম, তাঁদের বার্ষিক রিটার্ন ফাইলও ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। এদিন সিজিএসটি আইনে সংশোধনের প্রস্তাবও এনেছে কাউন্সিল।