ইন্দোনেশিয়ার ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল রফতানি করতে আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। এমনই দাবি করা হল টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। জানা যাচ্ছে, এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে তা ৪৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হবে। এই আবহে ফিলিপিন্সের পরে ইন্দোনেশিয়া দ্বিতীয় আসিয়ান দেশ হবে যারা ভারতের থেকে এই মিসাইল কিনবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সফরে এসে ব্রহ্মোস মিসাইল কেনার বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছিলেন। (আরও পড়ুন: ভারত নিজের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিলেও বাধা দেওয়া হবে, হুমকি বাংলাদেশ সরকারের)
আরও পড়ুন: মাসের পর মাস ৮ ভারতীয়র মৃতদেহ পড়ে বাংলাদেশি হাসপাতালের হিমঘরে
আরও পড়ুন: '...অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ', ইউনুসের 'কিপটে' বাংলাদেশ আসবে না 'অখণ্ড ভারতে'
উল্লেখ্য, ব্রহ্মোস হল একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই মিসাইল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এখন ভারত নিজের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই মিসাইল তৈরি করতে শুরু করেছে। ভারত এখন ব্রহ্মোস মিসাইল বিদেশেও রফতানি করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ শব্দের গতিবেগের থেকেও দ্রুত। যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও ডুবোজাহাজ, বিমান এবং স্থল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষপণ করা সম্ভব। (আরও পড়ুন: ভ্যাটের চাপে চ্যাপ্টা বাংলাদেশ! কীসের দাম বাড়ল কত? ইউনুস সরকারের পকেটে ঢুকবে কত)
আরও পড়ুন: 'বাবা-মাকে এপারে আনতাম',জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ধৃত বাংলাদেশি হিন্দু
এর আগে ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চুক্তি সই করেছিল ফিলিপিন্স। সেই প্রথম ভারতে তৈরি অস্ত্র বিদেশে রফতানি করা হয়। উল্লেখ্য, ভারত ও রাশিয়ার যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির যান্ত্রিক সিস্টেম যুক্ত করা হয় হায়দরাবাদের ব্রাহ্মোস ইন্টিগ্রেশন কমপ্লেক্সে। এখানেই মিসাইলের ইলেকট্রনিক সিস্টেম একত্রিত করা হয়। তবে ২০২৩ সালে রাজনাথ সিং দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের ডিফেন্স করিডরেও ব্রহ্মোস মিসাইল তৈরি করা হবে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে ১৪৫২ হামলার শিকার সংখ্যালঘুরা, এখনও মামলা হয়েছে ৫৩, ধরা পড়েছে…)
এদিকে ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লোরেঞ্জানা ভারতের ‘নোটিস অফ অ্যাওয়ার্ড’ (বিক্রির সম্মতি পত্র) সই করেন। ব্রহ্মোস আদতে একটি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সিস্টেম। ফিলিপিন্সের নৌসেনার ঝুলিতে এই মিসাইলগুলি যাচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিপিন্সের কাছে এই মিসাইলগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই আবহে ফিলিপিনো নৌবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল মিসাইল কেনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই হায়দরাবাদে ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শন করে যায়। এর আগে ২০১৯ সালে হিন্দুস্তান টাইমসই প্রথমবার খবর প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে ফিলিপিন্স প্রথম দেশ হিসেবে ব্রহ্মোস কিনতে চলেছে ভারতের থেকে। এবার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে। (আরও পড়ুন: আরও কাছে… শীঘ্রই হবে হ্যান্ডশেক! ডকিং মিশন নিয়ে বড় আপডেট ইসরোর, দেখুন ভিডিয়ো)
উল্লেখ্য, যখন প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল, সেই মুহূর্তে এই ব্রহ্মোসই ছিল বিশ্বের দ্রুততম সুপারসোনিক (শব্দের থেকেও বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বা ২.৮ মাখ গতিতে ছুটতে পারে ব্রহ্মোস মিসাইল। সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের অ্যান্টি-শিপ সংস্করণ গত ২০২২ সালের এপ্রিলে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড যৌথভাবে সফলভাবে পরীক্ষা করেছিল।