বাংলাদেশের কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ইদ পালন করার জেরে সাড়ে চারশো রোহিঙ্গাকে আটক করল বাংলাদেশের পুলিশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে রোহিঙ্গাদের প্রতি মনোভাব কঠোর হয়ে উঠেছে। এদিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেও বহু অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার এবং কক্সবাজার সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি কার হয়েছে। তা সত্ত্বেও সমুদ্র সৈকতে ইদ পালন করায় শতাধিক উদ্বাস্তুকে আটক করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: অমিত শাহের সফর সূচিতে রদবদল, কাশীপুরে বিজেপি নেতার মৃত্যুতে চড়ল রাজনৈতিক পারদ)
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে মায়ানমারে সেনার অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রায় নয় লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ, ভারতে চলে এসেছেলিনে। এদের সিংহভাগই অবশ্য বাংলাদেশে। তাদের কাঁটাতারে ঘেরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর থেকেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। এই আবহে বাংলাদেশের সৈকত শহরে ইদের সময় ক্যাম্প থেকে বের হওয়ায় রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়েছে। পুলিশের এই অভিযান প্রসঙ্গে মুখপাত্র রফিকউল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এটা আমাদের পর্যটকদের জন্য নিরাপদ না। আমরা শহরের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। যেহেতু পর্যটকরা ইদে কক্সবাজারে আসেন, আমরা তাদের নিরাপদ রাখতে টহল জোরদার করেছি।’
এদিকে আটক করা রোহিঙ্গাদের আবার ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়। এদিকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের নিয়ে ক্রমশ অধৈর্য হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদ ইস্যুতে আরও সহায়তা না দেওয়ার জন্য বাকি বিশ্বকে সমালোচনা করছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে স্থানীয় প্রশাসন ক্যাম্পের ভিতরে প্রায় ৩,০০০ দোকান এবং কয়েক ডজন বেসরকারি কমিউনিটি পরিচালিত স্কুল বুলডোজ করেছে। এদিকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি নামক এক সংগঠনের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। মায়ানমার সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করা এই সংগঠনের বিরুদ্ধে মানব পাচার থেকে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তারা বাংলাদেশের এই ক্যাম্পে ঘাঁটি গেড়ে থাকে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনও ঢিলেমি দিতে চায় না বাংলাদেশি প্রশাসন।