ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন কর্ণাটকের রায়চুরের সিন্ধানুর তালুকের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী ৫ বাংলাদেশি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (সিএএ) এই ৫ বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে সিএএ লাগু হওয়ার পর অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই বহু শরণার্থী নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে সিএএ-র অধীনে এই প্রথম কর্ণাটকে বাংলাদেশি শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পেলেন।
আরও পড়ুন: 'লাভ বাংলাদেশের হিন্দুদের', CAA-র নিয়ম সংশোধন ভারতের, আরও সহজ নাগরিকত্ব পাওয়া
কর্ণাটকে যে ৫ জন বাংলাদেশি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন তারা হলেন- রামকৃষ্ণন অভিকারী, অদ্বিত, সুকুমার, বিপ্রদাস গোলদার এবং জয়ন্ত মণ্ডল। তারা প্রত্যেকেই এই শরণার্থী শিবিরে বহু বছর ধরে বসবাস করছেন। এছাড়াও এখানকার ১৪৬ জন বাংলাদেশি শরণার্থী সিএএ-র অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব চেয়ে অনলাইনে আবেদন জমা দিয়েছে।
শিবিরের একজন আইনজীবী ও বাসিন্দা প্রণব বালা বলেন, গত চার দশক ধরে এই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ বসবাস করেছেন। সিন্দানুর তালুকের আরএইচ শিবিরটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও মায়ানমার ভাগ হয়ে যাওয়ার সময় তৈরি হয়েছিল। সেই উত্তাল পরিস্থিতির সময় ভারতে পালিয়ে আসা পরিবারগুলিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল এই শিশিরে। মোট পাঁচটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে। তাতে ৯৩২টি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এর মধ্যে, বাংলাদেশ থেকে ৭২৭টি পরিবারকে ১ থেকে ৪ নম্বর ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও মায়ানমার থেকে ২০৫টি পরিবারকে ৫ নম্বর ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিগত চার দশক ধরে এই শিশিরে জনসংখ্যা ২৫০০০ বেশি মানুষ থাকছেন। যার মধ্যে প্রায় ২০০০০ বাংলাদেশি শরণার্থী এবং ৫০০০ মায়ানমারের শরণার্থী।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিন্দানুর সফরে গিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপরেই সেখানকার স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য অনেকে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পোস্ট অফিস, রেলওয়ে এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জেলা-পর্যায়ের পর্যালোচনা কমিটি আবেদনকারীদের বাসস্থান এবং নথিগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে।সেই কমিটি ওই ৫ জনের নাগরিকত্বের সুপারিশ করেছিল। অবশেষে তারা নাগরিকত্ব পান।