একজন নাবালক ও একজন মহিলা সহ পাঁচজনকে নিয়ে ডুবে গেল খেয়াপারাপারের নৌকা। অসমের করিমগঞ্জ এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর বুধবার সন্ধ্যায় হালকা ঝড় উঠেছিল। তখনই টলমল করতে করতে করিমগঞ্জের ওই বিলে নৌকাটি উলটে যায়।বুধবার তল্লাশি চালিয়ে এসডিআরএফের টিম তিনজনের দেহ উদ্ধার করতে পেরেছিল।বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার হয়েছে আরও দুজনের দেহ। প্রসঙ্গত এই বিলটিকে অসমের বৃহত্তম বিল বলে উল্লেখ করা হয়। দুপুর ২টোর পর এখানে নৌকা পারাপার নিষিদ্ধ। তবুও স্থানীয় স্তরে এখানে তারপরেও নৌকা পারাপার হয় বলে অভিযোগ।
করিমগঞ্জের এসপি মায়াঙ্ক কুমার বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিকাল সাড়়ে ৪টা নাগাদ ঘটনাটা হয়। পাঁচজন যাত্রীর মধ্যে একজন দাঁড়যুক্ত নৌকাটিকে চালাচ্ছিলেন। প্রসঙ্গত এই সন বিলটি পর্যটকদের কাছেও বেশ আকর্ষনীয়। সাধারণ দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষ বোটিং করার জন্য এই বিলে আসেন। তবে এখানে একবার কেউ ডুবে গেলে তাঁকে খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। অতীতেও এই ধরনের নৌকাডুবির ঘটনা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের মতে, আবহাওয়া খারাপ থাকবে বলে বার বার সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরেও কিছু স্থানীয় নৌকা চলাচল করছিল। রতাবাড়ির বিধায়ক হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আমাদের দলের লোকজনও উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছেন। তবে কী কারণে তারা নৌকা চেপেছিলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে বুধবার তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও দুটি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।