এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও আছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, নির্যাতিতা মহিলা এবং ধৃত পাঁচজনই বাংলাদেশি। মহিলাকে পাচারের জন্য ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলার ধর্ষণের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ভিডিয়োয় যে পাঁচজন অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছিল, তাদের ছবি টুইটারে প্রকাশ করে অসম পুলিশ। টুইটবার্তায় বলা হয়, 'এক তরুণীকে নির্মমভাবে অত্যাচার এবং ধর্ষণের পাঁচজনের ছবি এগুলি। ভাইরাল ভিডিয়োয় তাদের দেখা গিয়েছিল। কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে বা কখন ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়।' সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য থাকলে তা জানানোর অনুরোধও করে পুলিশ। সেই টুইটটি রিটুইট করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরেণ রিজুজু। তিনিও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার আর্জি জানান।
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, ভাইরাল ভিডিয়োয় যে পাঁচজনকে দেখা গিয়েছে, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জেরার ভিত্তিতে রামামূর্তি নগর থানায় ধর্ষণ, অত্যাচার এবং অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, ছ'জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত জানান, আপাতত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে অভিযুক্তরা একই দলের সদস্য। টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে নির্যাতিতার উপর অত্যাচার চালিয়েছে অভিযুক্তরা। নির্যাতিতাও বাংলাদেশি। তাঁকে পাচারের জন্য ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। আপাতত শীর্ষ আধিকারিকদের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে।