জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে এসে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালাল বাঘ। ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর জখম হয়েছেন। এই অবস্থায় বাঘটিকে খাঁচাবন্দী করতে তৎপর হয়েছে বন দফতর। রাজস্থানের আলওয়ার জেলার সারিস্কা টাইগার রিজার্ভ থেকে বাঘটি লোকালয়ে চলে আসে বলে জানা যায়। এরপরেই একের পর এক গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়। এই নিয়ে বাঘটি সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল।
আরও পড়ুন: রাতে নৌকায় ঘুমিয়ে থাকার সময় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল বাঘ
সারিস্কার ডিএফও রাজেন্দ্র কুমার হুদা বলেছেন, জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাঘ পৌঁছানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। বন কর্মকর্তাদের একটি দলকে বাঘের সন্ধানে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ওই বাঘটিকে এসটি ২৩০৩ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাঘটিকে খাঁচাবন্দী করতে পারেনি বন দফতর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে প্রথমে বাঘটি বাসনী গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ কুমারের ওপর হামলা চালায়। তিনি ভোর পাঁচটার দিকে রেলস্টেশন থেকে গ্রামে যাওয়ার সময় বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন। বিকাশের একটি হাতে ও পিঠে বাঘের নখের দাগ রয়েছে। সেইসময় একজন বাইকে করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তা দেখে বাঘটি সেখান থেকে পালিয়ে গেলে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচেন ওই যুবক। এরপর বাঘটি পাশের গ্রাম দরবারপুরের দিকে পালিয়ে যায়। সেখানে সতীশ (৪৫), বিনু (৩০) এবং মহেন্দ্র (৩৩) নামে তিনজনের ওপর হামলা চালায়। তিনজনই আলওয়ারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে, বাঘের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। দরবারপুর, আহির ভাগঘোলা, বসনী-সহ আশপাশের অন্যান্য গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে ইতিমধ্যেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল ১০টার দিকে দরবারপুর গ্রামে বাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। দরবারপুরের পঞ্চায়েত প্রধান বীর সিং বলেন, গ্রামবাসীর বাঘের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের গাড়িতে করে বাড়ি পাঠানো হয়। গ্রামবাসীরা জানান, ৭ মাস আগে কোটকাসিম এলাকার এক কৃষকের ওপর এই বাঘ হামলা করেছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও দুই বনকর্মী।